নিউজ ডেস্ক:
জুয়েলারি হিসেবে ‘সোনা’ আমাদের সকলেরই পছন্দ। কিন্তু কখনো কি ভাবতে পারেন যে, সোনা ইনজেকশনের মাধ্যমে কারো চোখে সরাসরি দেওয়া হচ্ছে?
কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ সেন্টারে বর্তমানে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোগের চিকিৎসায় নতুন এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ চিকিৎসা হিসেবে চোখে ইনজেকশনের মাধ্যমে সরাসরি গলিত সোনা দেয়া।
যেখানে আমরা চোখে ইনজেকশনের কথা ভাবলেই আমাদের মনে ভয় তৈরি হয়, সেখানে কারো জন্য তা নিয়মিত ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এই রোগে চোখে গলিত সোনা দেওয়া হয় রোগটিকে দমিয়ে রাখার জন্য।
গবেষকরা চেষ্টা করছেন, প্রতি মাসে চোখে ইনজেকশনের মাধ্যমে গলিত সোনা দেওয়ার পরিবর্তে সংখ্যাটা বছরে কয়েকবারে নামিয়ে আনতে।
গবেষণাকারী বিজ্ঞানী জোহান বাসুকি বলেন, প্রয়োজনে প্রোটিন বা নিউট্রিশন এবং ওষুধকে ছড়ানোর জন্য এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। চোখের হাইড্রোজেলগুলো সোনার ন্যানোপারটিকেলস এর সঙ্গে কঠিনভাবে ঘনীভূত হয়ে যায়।’
‘জেলকে গরম করার জন্য কয়েক ডিগ্রির দরকার হয় যা আলোর মাধ্যমে সোনাকে উত্তপ্ত করে তোলে এবং সেটি কিছু ড্রাগ বা নিউট্রিয়েন্ট মুক্ত করার জন্য যথেষ্ট।’
জোহান আরো বলেন, ‘প্রোটিনের জীববিজ্ঞানসম্মত যে কার্যকলাপ দেখা যায় তা আসলেই শিরোপা জিতে নেয়ার মতো।’
তবে এই গবেষণাটি প্রথমে করা হয় খরগোশের ওপর। তারপর নানা প্রাণীর ওপর। এবং ততদিন পর্যন্ত গবেষণা চলতে থাকে যতদিন এটি মানুষের জন্য ব্যবহারের উপযোগী না হয়।