পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসেও কমেনি বেগুন, শসা ও লেবুর দাম। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ কম ও চাহিদা বেশি থাকায় এই তিন পণ্যের দাম কমছে না। এদিকে রোজায় বেগুন, শসা ও লেবু ছাড়া চলছেও না। তাই কষ্ট বেড়েছে সাধারণ ক্রেতাদের। এছাড়া, গত বছরের তুলনায় এ বছর রোজায় পণ্যের দামে ক্রেতারা খুশি।
অপরদিকে আলু, পেঁয়াজ ও মরিচের দাম স্থিতিশীল। কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। তবে মাছের বাজারে ইলিশ ও চিংড়ির দাম বাড়তি।
আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দামের এই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুই সপ্তাহ আগে অর্থাৎ রমজান মাস শুরুর দিকে মানভেদে এক হালি লেবু ৫০ থেকে ৮০ টাকা বা এর বেশি দামে কিনেছেন ক্রেতারা। আজ এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়; বড় সাইজের লেবুর হালি ১৪০ টাকা।
এছাড়া বিভিন্ন সবজির মধ্যে মরিচ, টমেটোর দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ধরনভেদে প্রতি কেজি টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং কাঁচা মরিচের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আলু ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই কম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ-মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগীর দাম কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৮৫ টাকায়; সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৪০ টাকায়।
এছাড়া ছোট ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়; আকারে বড়গুলো বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকায়। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজিতে।