ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় এগিয়ে বাংলাদেশিরা

২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধ প্রবেশের হার ২৫ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্ডার এজেন্সি ফ্রন্টটেক্স। বিশেষ করে পশ্চিম বালকান রুটে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা ৬৪ শতাংশ কমলেও, মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে বাংলাদেশিদের প্রবেশের প্রচেষ্টা ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্ডার এজেন্সি ফ্রন্টটেক্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশিরা বৈধভাবে লিবিয়া পৌঁছে পরে ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এই রুটে ৬ হাজার ৮৬৩ জন অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় কম হলেও এখনো উদ্বেগজনক।

এদিকে, পূর্ব আফ্রিকা রুট ব্যবহার করে ইউরোপে প্রবেশের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে ৭ হাজার ১৮২ জন হয়েছে। এই রুটে মূলত মালি, সেনেগাল ও গিনির অভিবাসীরা বেশি চেষ্টা চালিয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, মানবপাচারকারীরা এখন দ্রুতগতির স্পিডবোট ব্যবহার করছে, যাতে তাদের আটকানো কঠিন হয়। আর এই যাত্রার জন্য প্রতি অভিবাসীর কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ইউরো পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

সব মিলিয়ে গত দুই মাসে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও মালির মানুষ সবচেয়ে বেশি এই অবৈধ কাজ করেছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএমের অনুমান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ২৪৮ জন মারা গেছেন এই পথে। গেল বছর এই সংখ্যা পৌঁছেছিল ২ হাজারের ওপরে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় এগিয়ে বাংলাদেশিরা

আপডেট সময় : ১২:১৫:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধ প্রবেশের হার ২৫ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্ডার এজেন্সি ফ্রন্টটেক্স। বিশেষ করে পশ্চিম বালকান রুটে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা ৬৪ শতাংশ কমলেও, মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে বাংলাদেশিদের প্রবেশের প্রচেষ্টা ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্ডার এজেন্সি ফ্রন্টটেক্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশিরা বৈধভাবে লিবিয়া পৌঁছে পরে ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এই রুটে ৬ হাজার ৮৬৩ জন অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় কম হলেও এখনো উদ্বেগজনক।

এদিকে, পূর্ব আফ্রিকা রুট ব্যবহার করে ইউরোপে প্রবেশের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে ৭ হাজার ১৮২ জন হয়েছে। এই রুটে মূলত মালি, সেনেগাল ও গিনির অভিবাসীরা বেশি চেষ্টা চালিয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, মানবপাচারকারীরা এখন দ্রুতগতির স্পিডবোট ব্যবহার করছে, যাতে তাদের আটকানো কঠিন হয়। আর এই যাত্রার জন্য প্রতি অভিবাসীর কাছ থেকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ইউরো পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

সব মিলিয়ে গত দুই মাসে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও মালির মানুষ সবচেয়ে বেশি এই অবৈধ কাজ করেছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএমের অনুমান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ২৪৮ জন মারা গেছেন এই পথে। গেল বছর এই সংখ্যা পৌঁছেছিল ২ হাজারের ওপরে।