অভিবাসীদের জন্য নতুন ভিসানীতিসহ কর্মীদের ভিসা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রযুক্তিতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিদেশি দক্ষ তরুণদের ভিসাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকারের কথা ভাবছে দেশটির সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া বিদেশিদের বড় একটা অংশই তরুণ। তাই স্থানীয় জনসংখ্যা হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষ বিদেশিদের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটির সরকার। প্রযুক্তিতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এরই মধ্যে কোম্পানিগুলো থেকে এক হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী নিয়োগের সিদ্ধান্ত আসছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক। যাদের ভিসার ধরণ হবে টপ-টায়ার।
টপ-টায়ার ভিসাধারীরা দেশটিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাবেন। এক বছর থাকার পর ‘এফ-২’-তে রূপান্তর করতে পারবেন। পাশাপাশি থাকছে কোম্পানি পরিবর্তনের সুযোগ।
এদিকে, দক্ষিণ সরকার শীর্ষ ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর বা ডক্টরেট ডিগ্রিধারী বিদেশি নাগরিকদের জন্য ‘ডি-টেন-টি’ ভিসা দেবে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জন্য তারা দুই বছর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকতে পারবেন।
জনসংখ্যা কম এমন এলাকায় ভিসার ধরণ পরিবর্তন করে ‘এফ২আর’ করার সুযোগ পাবেন প্রায় ৮ শতাধিক কর্মী। এ ভিসায় স্বামী-স্ত্রী উভয়েই চাকরির অনুমতি পাবেন। এর আবেদন চলতি মাস থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
এছাড়া কোরীয় যুদ্ধের সময় সহায়তাকারী দেশগুলোর তরুণদের জন্য ‘ইয়ুথ ড্রিম ভিসা’ চালুরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।