শিরোনাম :
Logo জামালপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিএনপি নেতা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করলেন Logo অর্থের অভাবে যেন থেমে না যায় স্বপ্ন-শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রদল নেতা রবিউল আউয়াল Logo বাজেট বৃদ্ধি না হলে ‘লং মার্চ টু যমুনা’র হুঁশিয়ারি জবি ছাত্র-শিক্ষকদের Logo সেভেন সিস্টার্সসহ নেপাল-ভুটানের সঙ্গে যৌথ উন্নয়ন কৌশলের আহ্বান Logo নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে জরুরি বৈঠকে ইসি Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo ববি উপাচার্যকে মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে পদত্যাগ করতে আলটিমেটাম Logo চিকিৎসাখাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা প্রয়োজন, বললেন প্রধান উপদেষ্টা Logo জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার প্রতিবাদে সমবেত কন্ঠে গাইলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

শীতের সবজিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা !

  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:১৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭২ বার পড়া হয়েছে

N D :মানিকগঞ্জের সাত উপজেলার কৃষক এখন পুরোদমে শীতকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত। গেল মৌসুমে অকাল বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এবার আগের ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নেওয়ারও আশা করছেন।

 

তবে বিরূপ আবহাওয়ার ভয় তাদের মনে থেকেই যাচ্ছে। কৃষকরা মনে করছেন, কেবল আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেই ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমির সবজি। যার পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। মৌসুমের শুরুতেই জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৭ হাজার হেক্টরে। চলতি মৌসুমে প্রায় ২ লাখ মেট্রিকটন সবজির উৎপাদন হবে।

 

সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের সবজি চাষী সুজন মিয়া জানান, গত বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে সবজির আবাদ করেছিলেন। বন্যায় তার প্রায় দুই লাখ টাকার সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এবার তিনি ওই জমিতে আবার ফুল কপির আবাদ করেছেন। জমি তৈরি, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি শ্রমিক সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি তার খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা করে লাভ পাওয়া যাবে।

 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন নানা জাতের সবজির আবাদ চলছে। তবে, আগাম জাতের সবজি ইতিমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে।  স্থানীয় চাষিরা আবাদ করছেন লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লালশাক, পালংশাক, ধনিয়া, ঢেঁড়শ, উচ্ছে, বরবটি, টমেটো ও বেগুন।

 

ধুল্লা গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেন জানান, ফলন ভাল হলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। স্থানীয় চাষিরা সারা বছরই সবজি চাষের সাথে জড়িত। সবজির আবাদ করেই কৃষকরা সংসারের যাবতীয় খরচ চালিয়ে আসছেন।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে সার বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। এবার সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ আহ্বায়ককে মারধরের অভিযোগ

শীতের সবজিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা !

আপডেট সময় : ০৬:২৪:১৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

N D :মানিকগঞ্জের সাত উপজেলার কৃষক এখন পুরোদমে শীতকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত। গেল মৌসুমে অকাল বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এবার আগের ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নেওয়ারও আশা করছেন।

 

তবে বিরূপ আবহাওয়ার ভয় তাদের মনে থেকেই যাচ্ছে। কৃষকরা মনে করছেন, কেবল আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেই ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমির সবজি। যার পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। মৌসুমের শুরুতেই জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৭ হাজার হেক্টরে। চলতি মৌসুমে প্রায় ২ লাখ মেট্রিকটন সবজির উৎপাদন হবে।

 

সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের সবজি চাষী সুজন মিয়া জানান, গত বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে সবজির আবাদ করেছিলেন। বন্যায় তার প্রায় দুই লাখ টাকার সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এবার তিনি ওই জমিতে আবার ফুল কপির আবাদ করেছেন। জমি তৈরি, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি শ্রমিক সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি তার খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা করে লাভ পাওয়া যাবে।

 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন নানা জাতের সবজির আবাদ চলছে। তবে, আগাম জাতের সবজি ইতিমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে।  স্থানীয় চাষিরা আবাদ করছেন লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লালশাক, পালংশাক, ধনিয়া, ঢেঁড়শ, উচ্ছে, বরবটি, টমেটো ও বেগুন।

 

ধুল্লা গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেন জানান, ফলন ভাল হলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। স্থানীয় চাষিরা সারা বছরই সবজি চাষের সাথে জড়িত। সবজির আবাদ করেই কৃষকরা সংসারের যাবতীয় খরচ চালিয়ে আসছেন।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে সার বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। এবার সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।