শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ শাবি ভিসি !

  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:১২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য (ভিসি) আমিনুল হক ভুঁইয়া সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।

 

ক্যাম্পাস খুলে রাখার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘেরাওয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।

 

বুধবার বেলা ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে।

 

ভিসি ছাড়াও ওই কার্যালয়ে শাবির কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

 

এদিকে বিকেল ৪টার দিকে ভিসির কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

 

শিক্ষার্থীদের দাবি, ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হতে পারে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার জন্য প্রশাসনের আশ্বাস চাইছেন।

 

এ ব্যাপারে কথা বলতে শাবি উপাচার্য আমিনুল হক ভুঁইয়াকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

এর আগে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

 

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

পরবর্তীতে সিন্ডিকেট কমিটির সভায় ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছাড়াও মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া শাবির তিন আবাসিক ছাত্র হলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

 

তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রথমে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। পরে তারা ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করেন।

 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান গ্রুপের সঙ্গে সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, অঞ্জন রায় ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ শাবি ভিসি !

আপডেট সময় : ০৬:০৭:১২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক :

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য (ভিসি) আমিনুল হক ভুঁইয়া সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।

 

ক্যাম্পাস খুলে রাখার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘেরাওয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।

 

বুধবার বেলা ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে।

 

ভিসি ছাড়াও ওই কার্যালয়ে শাবির কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

 

এদিকে বিকেল ৪টার দিকে ভিসির কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

 

শিক্ষার্থীদের দাবি, ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হতে পারে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার জন্য প্রশাসনের আশ্বাস চাইছেন।

 

এ ব্যাপারে কথা বলতে শাবি উপাচার্য আমিনুল হক ভুঁইয়াকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

এর আগে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

 

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

পরবর্তীতে সিন্ডিকেট কমিটির সভায় ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছাড়াও মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া শাবির তিন আবাসিক ছাত্র হলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

 

তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রথমে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। পরে তারা ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করেন।

 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান গ্রুপের সঙ্গে সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, অঞ্জন রায় ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।