শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত  Logo বেলকুচি আনন্দমেলায় টিকিট বাণিজ্য সময় বাড়ানোর আবেদন Logo বিনামূল্যে বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাঁদপুর সদরের ৫২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা  Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

দিনে ৬৯ হাজার টাকা আয় জুতা পালিশ করে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শুনতে যতই বিস্ময়কর লাগুক না কেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের বাসিন্দা ডন ওয়ার্ডের দাবি, স্রেফ জুতো পালিশ করে মাসে ১৮ লাখ টাকা রোজগার করছেন। অর্থাৎ তার দৈনিক রোজগার দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৯ হাজার টাকার মতো।

কিন্তু জুতা পরিষ্কারের কাজে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ রোজগার কীভাবে সম্ভব? এক সাক্ষাৎকারে ডন জানান, তার কাস্টমারের সংখ্যা অনেক। এবং কাস্টমাররা খুশি হয়ে তাকে পারিশ্রমিক বেশ মোটা রকমই অর্থ দিয়ে থাকেন। তা থেকেই রোজগারের পরিমাণও বাড়ে তার।

কিন্তু ডনের বিশেষত্বটা কী, যাতে এত বেশি গ্রাহক এবং মোটা পারিশ্রমিক হস্তগত করা সম্ভব হয় তার পক্ষে? ডন জানান, তার স্ট্র্যাটেজি হলো, রাস্তার পথচারীদের জুতায় সামান্য নোংরা দেখলেই, সেই নিয়ে কটূক্তি ছুড়ে দেওয়া। ‘মাছ ধরার জন্য আপনি যেমন টোপ দেন? আমিও ঠিক তেমনই কাস্টমার ধরার জন্য টোপ দিই। জুতা পালিশের পসরা সাজিয়ে রাস্তায় বসি। তার পর সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীদের জুতার দিকে নজর রাখি। কারোর জুতোয় সামান্য নোংরা দেখলেই, সেই নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ শুরু করি। তাতে আপনা থেকেই তারা আমার কাছে জুতা পালিশের জন্যে চলে আসেন;’ জানাচ্ছেন ডন।

আর ডনকে দিয়ে যিনি একবার জুতা পালিশ করিয়েছেন, তিনি নাকি বার বার তার কাছেই ফিরে আসার জন্য মুখিয়ে থাকেন। কারণ ডন জানান, ‘আমি তো শুধু জুতা পালিশ করি না। আমি আমার গ্রাহকদের সঙ্গে গল্প করি, নানা রকমের চুটকি শোনাই, হাসি-ঠাট্টা করি। আমার কাজের পাশাপাশি আমাকেও ভালোবেসে ফেলেন তারা।’

এই কৌশলেই দৈনিক ৯ হাজার ডলারের মতো রোজগার করছেন ডন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার অর্থ দাঁড়ায় ৬৯ হাজার টাকার কাছাকাছি। আগে একটি ফটো ল্যাব-এ কাজ করতেন ডন। সেই পেশায় রোজগার তেমন বেশি ছিল না বলেই তিনি জুতা পালিশ শুরু করেন। কোনো কাজই যে আসলে ছোট নয়, তা যেন নতুন করে প্রমাণ করছেন ডন। জুতা পালিশ করে লাখপতি হয়ে গেছেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট

দিনে ৬৯ হাজার টাকা আয় জুতা পালিশ করে !

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শুনতে যতই বিস্ময়কর লাগুক না কেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের বাসিন্দা ডন ওয়ার্ডের দাবি, স্রেফ জুতো পালিশ করে মাসে ১৮ লাখ টাকা রোজগার করছেন। অর্থাৎ তার দৈনিক রোজগার দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৯ হাজার টাকার মতো।

কিন্তু জুতা পরিষ্কারের কাজে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ রোজগার কীভাবে সম্ভব? এক সাক্ষাৎকারে ডন জানান, তার কাস্টমারের সংখ্যা অনেক। এবং কাস্টমাররা খুশি হয়ে তাকে পারিশ্রমিক বেশ মোটা রকমই অর্থ দিয়ে থাকেন। তা থেকেই রোজগারের পরিমাণও বাড়ে তার।

কিন্তু ডনের বিশেষত্বটা কী, যাতে এত বেশি গ্রাহক এবং মোটা পারিশ্রমিক হস্তগত করা সম্ভব হয় তার পক্ষে? ডন জানান, তার স্ট্র্যাটেজি হলো, রাস্তার পথচারীদের জুতায় সামান্য নোংরা দেখলেই, সেই নিয়ে কটূক্তি ছুড়ে দেওয়া। ‘মাছ ধরার জন্য আপনি যেমন টোপ দেন? আমিও ঠিক তেমনই কাস্টমার ধরার জন্য টোপ দিই। জুতা পালিশের পসরা সাজিয়ে রাস্তায় বসি। তার পর সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীদের জুতার দিকে নজর রাখি। কারোর জুতোয় সামান্য নোংরা দেখলেই, সেই নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ শুরু করি। তাতে আপনা থেকেই তারা আমার কাছে জুতা পালিশের জন্যে চলে আসেন;’ জানাচ্ছেন ডন।

আর ডনকে দিয়ে যিনি একবার জুতা পালিশ করিয়েছেন, তিনি নাকি বার বার তার কাছেই ফিরে আসার জন্য মুখিয়ে থাকেন। কারণ ডন জানান, ‘আমি তো শুধু জুতা পালিশ করি না। আমি আমার গ্রাহকদের সঙ্গে গল্প করি, নানা রকমের চুটকি শোনাই, হাসি-ঠাট্টা করি। আমার কাজের পাশাপাশি আমাকেও ভালোবেসে ফেলেন তারা।’

এই কৌশলেই দৈনিক ৯ হাজার ডলারের মতো রোজগার করছেন ডন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার অর্থ দাঁড়ায় ৬৯ হাজার টাকার কাছাকাছি। আগে একটি ফটো ল্যাব-এ কাজ করতেন ডন। সেই পেশায় রোজগার তেমন বেশি ছিল না বলেই তিনি জুতা পালিশ শুরু করেন। কোনো কাজই যে আসলে ছোট নয়, তা যেন নতুন করে প্রমাণ করছেন ডন। জুতা পালিশ করে লাখপতি হয়ে গেছেন তিনি।