নিউজ ডেস্ক:
খুলনার জেলখানা ঘাট বরাবর মাঝনদীতে নোঙর করা গাইড ট্যুরসের রিজার্ভ লঞ্চ ‘ছুটি’ আমাদের নিয়ে সুন্দরবনের উদ্দেশে যখন রওনা হয়, তখন রাতের মধ্যপ্রহর। হালকা কুয়াশার মধ্যেও জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছিল ভৈরব নদের ফুলে ওঠা জলের শরীর। পেছনে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে থাকে খুলনা শহরের স্তিমিত আলোকমালা। জ্যোৎস্নাঢালা এমন রাতে চন্দ্রাহত হয়ে ওপরের ডেকে বসে রাতের জলযাত্রার সৌন্দর্যে পরিপূর্ণভাবে নিমগ্ন হওয়া ছিল স্বপ্নবৎ। বিশ্বচরাচর ঘন কুয়াশায় ঢাকা, তার ভেতর দিয়ে জ্যোৎস্নার ফিকে আলোতে যান্ত্রিক গুঞ্জন তুলে আমাদের জলযানটি ভৈরব পেরিয়ে রূপসা নদীতে ঢোকে। তারপর কখন যে কাজীবাছা, পশুর হয়ে শ্যালা নদীতে গিয়ে বিশ্রাম নিতে চাঁদপাই রেঞ্জে নোঙর করে লঞ্চটি, টের পাই না—হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ভোরের আলোতে জলযানটির শব্দহীন গতিহীনতা সারা রাতের সশব্দ অভিজ্ঞতার বিপরীতে অনভ্যস্ত ঠেকে।
সকালে ফের যাত্রা শুরু হলে দেখা মেলে নদীর তীরের কাছে চিংড়ির পোনা শিকারের জন্য পেতে রাখা মশারির মতো জাল। কিছুদূর পরপর দেখা পাওয়া জেলে নৌকার মৎস্য শিকারিদের হালধরা পেশিবহুল হাতে ঠিকরে পড়ে সকালের রোদ। লঞ্চের শব্দে জলের প্রান্তে দাঁড়ানো ধ্যানী বকের একাগ্রতা ভেঙে গেলে লম্বা পা দুটো সটান করে বিরক্তিতে ওদের উড়াল দেওয়া দেখে একধরনের অপরোধবোধ জেগে ওঠে। দুপুরের খাওয়ার পর আবার যখন যাত্রা শুরু হয়, ততক্ষণে ভাটার টানে জল নেমে গিয়ে কাদার বারান্দা জেগে উঠেছে হরিণঘাটা নদীর তীরে। সেখানে শীতের দেশের মানুষের আদলে রোদ পোহায় একাকী কুমির। প্রথম দৃষ্টিতে কাদামাখা গায়ের প্রাণীটিকে অবিকল নিষ্প্রাণ গাছের গুঁড়ির মতো মনে হয়। কিছুদূরে আরেকটি এ রকম গাছের গুঁড়ি লঞ্চের শব্দ নিকটবর্তী হলে সড়সড় করে নেমে যায় জলে। গাছপালার সবুজ দেয়ালে চড়ে বসা তিনটি বানরশিশু নিস্পৃহ চোখে তাকায়, এ রকম লঞ্চ, কিংবা ঠিক এই লঞ্চটি ওদের বহুবার দেখা। নদীর মাঝ বরাবর নোঙর করা গোলপাতাবোঝাই নৌকা থেকে হাত নাড়ে একজন। অনেকের ধারণা, গোলপাতা হচ্ছে গোলাকার। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গোলপাতা অনেকটা নারকেল বা পামগাছের পাতার মতো। নদীর তীর ঘেঁষে সাজানো বাগানের গাছের মতো বেড়ে ওঠা গোল গাছের ডাল কেটে শুকিয়ে নিয়ে কুঁড়েঘরের চালে লাগানো হয়, ঠিক যেমন করে শণের চাল দিয়ে ছাওয়া হয় ঘর।
একসময় আমাদের লঞ্চ এক ছোট খালের মুখে নোঙর করে। এখান থেকে ইঞ্জিন লাগানো ছোট ডিঙিতে খাল বেয়ে বনের ভেতরে ঢুকতে হবে। সেই অভিজ্ঞতা রীতিমতো শিহরণজাগানো। সরু খালের পাড়ের কোন আড়াল থেকে যে বাঘ নিশানা করে আছে, কে জানে। অজানা আশঙ্কায় সবাই চুপ, কেবল বোটের গুড়গুড় শব্দে ভেঙে যায় অরণ্যের নীরবতা। সে শব্দে চকিত হরিণ পালালেও বাঘ উল্টো আক্রমণ করে বসতে পারে। বোটের নিচে নিঃশব্দে নেমে যায় ঘোলা জল, সেই সঙ্গে জেগে উঠছে কাদামাখা গাছের ডাল, গোড়া এবং শিকড় ও শ্বাসমূল। খাল থেকে বেরিয়ে যাওয়া ছোট শাখা খালের জল পুরোপুরি নেমে গিয়ে কাদামাখা নালার রূপ নিয়েছে। আমাদের পেছনে ফেলে আসা খালের পাড় থেকে কেওড়াগাছেরা এমনভাবে ঝুঁকে আছে, যেন দেখছে নিজেদের কাদামাখা পা। এভাবে কিছুদূর চলার পর ফেরানো হয় ডিঙি, সন্ধ্যার আঁধার নামার আগেই লঞ্চে ফিরতে হবে। লম্বা বৃক্ষের আগায় ঢলে পড়া সূর্যের আলো ঠিকরালেও নিচে ছায়া পড়ে গেছে। সেই আলোতে গাছের মগডালে বসে আছে এক প্রজাতির ইগল, তার গোল চোখে সতর্ক দৃষ্টি। কিছুদূর গেলেই দেখা যায় খালের পাড়ে জেগে ওঠা কাদায় বাঘের পায়ের গভীর গর্ত। আমাদের আনাড়ি চোখেও বোঝা যায়, এই গর্ত তৈরি হয়েছে খুব বেশি দেরি হয়নি। আমাদের সঙ্গে আসা গাইড ট্যুরসের কর্ণধার হাসান মাহবুব বাবলু এবং বোটের চালক দুজনই অভিজ্ঞ, তাঁরাও নিশ্চিত করেন মাত্র কিছুক্ষণ আগে বাঘটা এদিক দিয়েই খাল পেরিয়ে গেছে। ঠিক তখনই দূরে অস্পষ্ট এক অপরিচিত ডাকের শব্দ শুনে বাবলু ভাই সবাইকে ঠোঁটে আঙুল ছুঁয়ে চুপ করতে বলেন। বোটের মাঝি ফিসফিস করে বলেন, ‘বাঘ ডাকতিসে।’ ভয়ে আমাদের হাত-পা পেটের মধ্যে সেঁধিয়ে গেলেও বাচ্চাদের সামনে সবাই বেশ সাহসী ভাব দেখাই, যাতে ওরা ভয় না পায়। আমাদের সঙ্গের নারীদের মুখ ছাইবর্ণ। বাচ্চারা জীবনে প্রথমবারের মতো বাঘের ডাক শুনে এমন ভয়ের মাঝেও উত্তেজিত। বাবলু ভাই বিড়বিড় করে বলেন, বাঘটা অনেক দূরে, এখান দিয়ে যেটা খাল পার হয়ে গেল, ওটাই। তবে সবাইকে চুপ করতে বলেছিলাম যাতে ডাকটা ঠিকমতো শুনতে পারা যায়। তখন একসারি তালগাছের পেছন থেকে পাটে নেমে যাওয়া সূর্যের নরম আলোটুকু মাত্র দেখা যাচ্ছিল। সন্ধ্যা নামার আগমুহূর্তে সংকীর্ণ খালের বুকে খোলা ডিঙির ওপর আড়ালহীন বসে নিজেদের খোলা প্রান্তরে অদৃশ্য শত্রুর নিশানার মতো অরক্ষিত মনে হচ্ছিল। ঠিক সে সময় খালের মুখে নদীতে নোঙর করা আমাদের লঞ্চটিকে দেখা যায় বলে আমাদের ভেতরের অসহায় গোপন ভীতি দূর হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে।
পরদিন খুব ভোরে আমাদের ঘুম থেকে তুলে দেওয়া হয় সূর্য ওঠার আগেই জঙ্গলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। এই শীতের ভোরে কারোরই আলস্য নেই খালভ্রমণে যেতে। গত সন্ধ্যার ভীতি দূর হয়ে গেছে দিনের আলোতে। এতক্ষণ একটা গাঙচিল মাথার ওপর দিয়ে উড়ে আসছিল, খালে ঢোকার পর সেটি আর দেখা যায় না। মনে হয় আমাদের খালের পথ দেখিয়ে দিয়ে ফিরে গেছে বড় নদীর দিকে। কাদামাখা জলের অপ্রশস্ত খালে গাঙচিল বড়ই বেমানান।
খালের শরীর বেয়ে খরস্রোতে ভাটার জল নেমে যাচ্ছিল বলে নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ করে নিঃশব্দে চলার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়, আর সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসে অকস্মাৎ নীরবতা, যেন নেমে যাওয়া জলের সঙ্গে ডিঙি ভেসে যাওয়ার অস্পষ্ট ছলাৎ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই চরাচরে। অরণ্যের বাঙ্ময় নীরবতার মাঝে এক অপার্থিব কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। খুব ভোরের আধো অন্ধকার কেটে গিয়ে হালকা আলোয় ভরে আছে আশপাশ, নেমে যাওয়া শান্ত জলের বুকে ভেসে বেড়ানো কুয়াশাকে মনে হয় যেন উষ্ণ পানির ভাপ। খালের নিস্তরঙ্গ জলের ওপর বিপজ্জনকভাবে হেলে আছে একটা গাছ, তার অবিকল প্রতিবিম্ব কুয়াশার মাঝেও তৈরি করেছে এক শৈল্পিক দৃশ্য। জলের ধারে এমন শীতে জবুথবু বক, ঝুঁকে পড়া গাছের ডালের আগায় মাছরাঙা তাদের ব্রেকফাস্ট জোগাড়ের জন্য এমনই মগ্ন হয়ে বসা যে খুব কাছ দিয়ে এতগুলো মানুষ নিয়ে একটা নৌকা ওদের সামনে দিয়ে চলে যায়, ওরা ভ্রুক্ষেপও করে না। এ সময় খুব স্পষ্ট শোনা যায় গত সন্ধ্যায় শোনা পরিচিত হুংকার। আজ আরও কাছে যেন, কিন্তু দিনের আলোতে বলে তেমন ভয় হয় না। সকালের এই নীরবতার মাঝে সেই স্পষ্ট ডাক আমাদের সবাইকে সম্মোহিত করে রাখে ভয়ে, বিস্ময়ে এবং উত্তেজনায়। বেশ কয়েক বার ডেকে ওঠে অদৃশ্য বাঘটা। শব্দের উৎসস্থল সরে যেতে থাকলে আমাদের সবার মুখের দিকে তাকিয়ে বোটের মাঝি বলেন, ‘দূরে চলি যাতিসে। ভয় পায়েন না য্যান।’
লঞ্চে ফিরে নাশতার পর আমাদের যাত্রা শুরু হয় কচিখালী সৈকতের দিকে। ওখানে আমাদের ডিঙি করে তীরে নামিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে সমুদ্রসৈকত ধরে হেঁটে যেতে হবে কটকা অবধি প্রায় তিন কিলোমিটার পথ। এখানে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন বেশ ঢাউস সাইজের রাইফেল কাঁধে খাকি পোশাকধারী মাঝারি ভুঁড়ি এবং পূর্ণ টাকবিশিষ্ট এক ফরেস্ট গার্ড। কিন্তু আমাদের প্রহরীর চেহারা, তাঁর বন্দুকের অবস্থা দেখে সঙ্গের বাচ্চারাও বাঘের ভয় ভুলে গিয়ে গোপনে হেসে কুটিকুটি। যাত্রা শুরুর প্রথমদিকেই বালির ওপর পাওয়া যায় বাঘের থাবার ছাপ, তবে সেটা প্রায় এক দিন আগের। এই পথ দিয়ে বাঘের আনাগোনা নিয়মিত ব্যাপার, তাই এই সশস্ত্র সতর্কতা।
দীর্ঘ সেই সৈকতযাত্রা কক্সবাজারের তকতকে বিচের মতো নয়, সৈকতের বালিতে এলোমেলো পড়ে আছে মরা লতাগুল্ম, গাছের ডালপালা। মাঘ মাসের সেই প্রায়-দ্বিপ্রহরেও আমরা রোদে ভাজা ভাজা হয়ে কটকার দিকে এগোতে থাকি। বাবলু ভাই তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলেন কেউ জলের খালি বোতল সৈকতে ছুড়ে ফেলে দেয় কি না। বাচ্চারা এত কিছু কি আর বোঝে? একজন বোতল শেষ করে বালির ওপর ফেলে দিলে তিনি মৃদু ভর্ৎসনা করে সেটি কুড়িয়ে নিয়ে ব্যাগে ভরলেন। সব পর্যটনকেন্দ্রে এই সচেতনতা যদি নিশ্চিত করা যেত?
কটকার কাছে পৌঁছে ঝোপের নিচে পাওয়া গেল বালির ওপর বাঘের পায়ের তাজা ছাপ। তাজা মানে সকালবেলার। বোঝা গেল সকালেই বাঘটি এখান দিয়ে হেঁটে গেছে। এবার সত্যিই শঙ্কা জাগে মনে, বাঘটা যদি আশপাশের কোনো ঝোপের আড়ালে বসে থেকে আমাদের লক্ষ করে? কাছেই ঘন শণের বন, বাঘ লুকিয়ে থাকার আদর্শ জায়গা। বাঘের পায়ের ছাপ দেখার পর আমাদের প্রহরীটি আরও একটু যেন কাছাকাছি ঘেঁষে হাঁটেন, সেটা আমাদের ভরসা দিতে, নাকি নিজের নিরাপত্তার জন্য, বোঝা যায় না।
কটকার সৈকতে জোয়ারের জল নেমে যাওয়ার পর বালি ফুঁড়ে জেগে উঠেছে ভাস্কর্যের মতো মৃত বৃক্ষের গোড়া, ওগুলোর কালো রং দেখে মনে হয় যেন বহু বছরের পুরোনো সেসব মৃত বৃক্ষ। তার চারপাশে ছড়ানো মাটি ফুঁড়ে ওঠা মিনিয়েচার মন্দিরের মতো শ্বাসমূল। কোথাও সাগরের জলে অর্ধেক ডুবে থাকা শিকড়সমেত মৃত বৃক্ষের অবশিষ্টাংশে বসে আছে শোকেবিধুর ধ্যানমগ্ন একটি পাখি।
কটকা সৈকত থেকে আমরা ভেতর দিকে হেঁটে যাই, গন্তব্য জামতলী। ওখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে আমাদের লঞ্চটি। জামতলীর পথের প্রথম দিকে অরণ্যঢাকা সংকীর্ণ পথ, কিছুক্ষণ আগে বাঘের পায়ের তাজা ছাপ দেখে এমন ঘন বনের পাশ দিয়ে যেতে নিজের অজান্তে গা শিরশির করে ওঠে, কে জানে কোথায় ওত পেতে আছে পদচিহ্ন রেখে যাওয়া বাংলার রাজকীয় প্রাণীটি। আমাদের কারও কারও হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় হাইকিংয়ে যাওয়া অভিযাত্রীদের মতো লম্বা সুন্দরীগাছের লাঠি। বাবলু ভাই মজা করে বলেন, ‘হাঁটতে আরাম তো হবেই, বাঘ লাফিয়ে পড়লে দুচার ঘা দেওয়াও যাবে।’ আমরা কাষ্ঠ হাসি হেসে মজা পাওয়ার ভান করি। প্রায় এক কিলোমিটার হাঁটার পর জঙ্গল হালকা হয়ে দূরে সরে যায়, বেশ প্রশস্ত খোলা জায়গা ধরে হাঁটতে গিয়ে সাহস ফিরে আসে। এভাবে আরও প্রায় দুই কিলোমিটার হাঁটার পর কটকা ওয়াচ টাওয়ার, চারতলা সেই টাওয়ারে ওঠার শক্তি অবশিষ্ট নেই কারও। উঠলে সুন্দরবনের বেশ কিছুটা একনজরে দেখা যেত।
বিকেলে কটকা অভয়ারণ্যে যাওয়ার পথে লঞ্চ থেকে দেখা পাওয়া যায় বুনো শূকর, চিত্রা হরিণের ঝাঁক। হেলেদুলে হেঁটে যাওয়া একজোড়া মদনটাক দেখা গেল, যেন কর্তা-গিন্নি মিলে বিকেলে হাওয়া খেতে বেরিয়েছে। কটকার জেটিতে নেমে ভেতর দিকে যাওয়ার জন্য রয়েছে কাঠের পাটাতনের পথ। সেটি শেষ হলে বেশ কিছুদূর হেঁটে পাওয়া যায় পিঠ উঁচু করা কয়েকখণ্ড ভূমি, এগুলোর নাম বাঘের টিলা। নামেই টিলা, কয়েক ফুট উঁচু জায়গার নাম টিলা মানে, কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন। জোয়ারের পানি এই মাটির কুঁজগুলোকে ডোবাতে পারে না বলে দক্ষিণের নাবি অঞ্চলের মানুষের কাছে এগুলোই টিলা। আর এখানে বাঘের আনাগোনা বেশি বলেই নাম, বাঘের টিলা। আমাদের সফরসঙ্গী খুলনার সাংবাদিক শামীম আশরাফ জানান, সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশের মতো এখানেও ব্রিটিশ আমলের প্রথমদিকে লবণের চাষ হতো। সেই লবণ চাষের কিছু নিদর্শন, যেমন পোড়ামাটির পাত্রের ভাঙা টুকরো-টাকরা আমাদের চোখেও পড়ে। দাদন-দাসত্বের সেই ইতিহাস হতে পারে অর্থনৈতিক গবেষণার বিষয়, সুন্দরবনের ভেতর লবণ চাষের অসুন্দর ইতিহাস এখানে মেলানো যাবে না।