লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে জাতীয় সার্ভারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ডিএনএ ও ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো ঢাকার মালিবাগের সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হবে। এমনকি আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো স্বজন পরিচয় শনাক্ত করেননি। সবগুলো মরদেহ কাছাকাছি হওয়ায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে জনমনে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কারণ লাশ যে স্থানে পাওয়া যায় সেই ঘটনাস্থলের পাশে ঝোপঝাড়। দুই পাশে প্রায় আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বাড়িঘর বা দোকানপাটও নাই। ঘটনাস্থলে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। এখানে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় কারো ট্রেনে কাটা পরার কথা নয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দার রেলগেইট এলাকায় পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুরে রেললাইনের আশপাশে ছিন্নভিন্ন পাঁচটি মরদেহ দেখে স্থানীয়রা রেলওয়ে পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ, পিবিআই, রায়পুরা ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করেন। নিহত সবাই পুরুষ। তাদের বয়স আনুমানিক ১৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।