হবিগঞ্জ জেলার নবিগঞ্জ উপজেলার
গত-০৯/০৫/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০২:১৫ ঘটিকার সময় নবীগঞ্জ থানাধীন ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামে ইয়াহিয়া আহমদ চৌধুরীর বাড়ীতে একদল ডাকাত ঘরের দরজার ছিটকারী ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে বাদী ও বাদীর ভাতিজির কক্ষ হইতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, চর্ট লাইট সহ সর্বমোট-৯,৮০,০০০/-(নয় লক্ষ আশি হাজার) টাকার নগদ টাকা ও মালামাল জোরপূর্বক লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ সুপার জনাব আক্তার হোসেন (বিপিএম-সেবা) এর দিক নির্দেশনায় “টিম নবীগঞ্জ থানা” ডাকাতদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারের লক্ষ্যে তদন্ত অব্যাহত রাখে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক/ আলমগীর কবির, এসআই/রাজিব রহমান, এসআই/সুমন মিয়া সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নবীগঞ্জ থানার ডাকাতি মামলা নং-৮(০৫)২৪ এর ঘটনায় জড়িত ডাকত সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ কাজল মিয়া(৪৮) পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ, সাং-আতানগিরি, থানা-মৌলভীবাজার সদর, জেলা-মৌলভীবাজার কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইং ০৩/০৬/২০২৪ তারিখ রাত ১১:৩০ ঘটিকার সময় নবীগঞ্জ থানাধীন আউশকান্দি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
ডাকাত কাজল মিয়া একজন পেশার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জে ডাকাতি, চুরি, হত্যা ও অস্ত্র মামলা সহ ১৫টি মামলা রহিয়াছে।
ডাকাতি মামলায় পূর্বে তার সাজা হয় এবং সাজা খেটে বের হয়ে পূনরায় ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। উক্ত ডাকাত কামারগাঁও গ্রামে মামলার বাদী ইয়াহিয়া আহমদ চৌধুরীর বাড়ীতে ডাকাতির ঘঁনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। উক্ত ডাকতকে অদ্য-০৪/০৬/২০২৪ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে ছিফাত উল্ল্যাহ মহোদয়ের আদালতে ডাকাতির ঘটনায় বর্ণনা দিয়া এবং ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান কর।