মো: মাসুদ রানা,কচুয়া
চাঁদপুরের কচুয়ায় শীতের শুরু থেকেই লেপ-তোষকের দোকানে কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরি করছেন তারা।
রেডিমেড লেপ-তোষক-ম্যাট্রেসের কদর বৃদ্ধি, উপকরণের মূল্য ও মজুরি বৃদ্ধির কারণে এবার কমেছে চাহিদার পরিমাণ। সে কারণে কারিগরদের ব্যস্ততাও আগের থেকে একটু কম। তীব্র শীত শুরু হতে এখনো বাকি কিছুদিন। কনকনে শীতের আগে তাই লেপ-তোষকের দোকানে আসছেন ক্রেতারা। নতুনের পাশাপাশি কেউ কেউ আবার পুরনো লেপ-তোষকই নতুন করে গড়িয়ে নিচ্ছেন।
জানা যায়,কচুয়া পৌর বাজার,রহিমানগর,সাচার,পালাখাল ও জগতপুর বাজারে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসকল দোকানে বানানো লেপ-তোষকের পাশাপাশি রেডিমেড লেপ-তোষকও বিক্রি হচ্ছে। এবারে তুলা ও কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে লেপ, তোষক তৈরিতে খরচও বেড়েছে। উপকরণ ও মজুরি মিলিয়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর খরচ কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। তাই কমেছে অর্ডারের সংখ্যা। সেই সাথে কম্বল, ফোম ও ম্যাট্রেসের ব্যবহার বেড়ে যাবার কারণে লেপ তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততাও আগের চেয়ে কমেছে। এ কাজের সাথে জড়িত কারিগররা ঝুঁকছেন অন্য পেশায়।
পালাখাল বাজারের লেপ-তোষক কারিগর লোকমান হোসেন বলেন, প্রায় ৩৮ বছর ধরে এ কাজের সাথে রয়েছি। দিনে ৫শ থেকে ৬শ টাকা মজুরি পাই। আগে দিনে এক হাজার টাকাও মজুরি পেয়েছি। কম কাজ ও কম মজুরির জন্য এখন লেপ-তোষকের কারিগররা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
অন্য কারিগর আবু সুফিয়ান বলেন, কয়েক বছর আগেও কাস্টমার বেশি ছিল। বর্তমানে ম্যাট্রেস আর ফোমের ব্যবহার বেড়ে যাবার কারণে কাস্টমার কমেছে। তাছাড়া, কাপড় ও তুলার দামও বেড়েছে আগের চেয়ে। তাই এ পেশাকে টিকে রাখতে সরকারি-বেসরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।