ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে সোনা পাচার করতেন, দাবি অভিনেত্রীর

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:৫৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে
এ ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকেও গ্রেপ্তার হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রান্যা রাওকে সোনা নিয়ে বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে সাহায্য করছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৪ মার্চ রান্যাকে গ্রেপ্তারের পর লাভেল রোডের নন্দওয়ানি ম্যানসনে তার বাসভবনে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তল্লাশিতে নগদ ২.৬৭ কোটি রুপি এবং ২.০৬ কোটি মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

অভিযানের পর কর্মকর্তারা তার বাড়ি থেকে তিনটি বড় বাক্স উদ্ধার করেন। মোট বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মূল্য ১৭.২৯ কোটি রুপি।

দুবাই থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামার পরে রান্যা পুলিশ কনস্টেবল বাসবরাজুর সাহায্যে নিরাপত্তা তল্লাশি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে তার কার্যকলাপ সম্পর্কে আগে থেকেই খবর ছিল ডিআরআই-এর কাছে, ফলে নায়িকাকে স্বর্ণসহ হাতেনাতে ধরে ফেলা সম্ভব হয়। তল্লাশি করার সময় রানিয়ার জ্যাকেটের ভেতরে ১২.৫৬ কোটি রুপি মূল্যের ১৪.২ কেজি বিদেশি সোনা খুঁজে পাওয়া যায়।

গ্রেপ্তারের পরে নায়িকাকে বিশদ তদন্তের জন্য নাগাভারায় ডিআরআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রান্যা দাবি করেছেন ব্ল্যাকমেইল করে তাকে দিয়ে সোনা পাচার করানো হয়।

এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুতে অর্থনৈতিক অপরাধের জন্য বিশেষ আদালত অভিনেত্রী রানিয়া রাওকে ১০ মার্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডিআরআই-এর হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছে। আদালত তাকে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছে এবং প্রতিদিন আধা ঘণ্টার জন্য তার আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে। এছাড়াও, আদালত ডিআরআই-কে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলেছে, যাতে নিশ্চিত করা হয় যে তাকে কোনোভাবে হুমকি দেওয়া হবে না এবং তিনি প্রয়োজনীয় মৌলিক সুবিধা পাবেন। এছাড়াও রান্যা রাওয়ের সোনা পাচার মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই। ‘সিএনএন’ ও ‘নিউজ ১৮’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সিবিআইয়ের একটি দল বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছে। একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেটের সাথে অভিনেত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত করবে তারা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে সোনা পাচার করতেন, দাবি অভিনেত্রীর

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৫৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
এ ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকেও গ্রেপ্তার হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রান্যা রাওকে সোনা নিয়ে বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে সাহায্য করছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৪ মার্চ রান্যাকে গ্রেপ্তারের পর লাভেল রোডের নন্দওয়ানি ম্যানসনে তার বাসভবনে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তল্লাশিতে নগদ ২.৬৭ কোটি রুপি এবং ২.০৬ কোটি মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

অভিযানের পর কর্মকর্তারা তার বাড়ি থেকে তিনটি বড় বাক্স উদ্ধার করেন। মোট বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মূল্য ১৭.২৯ কোটি রুপি।

দুবাই থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামার পরে রান্যা পুলিশ কনস্টেবল বাসবরাজুর সাহায্যে নিরাপত্তা তল্লাশি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে তার কার্যকলাপ সম্পর্কে আগে থেকেই খবর ছিল ডিআরআই-এর কাছে, ফলে নায়িকাকে স্বর্ণসহ হাতেনাতে ধরে ফেলা সম্ভব হয়। তল্লাশি করার সময় রানিয়ার জ্যাকেটের ভেতরে ১২.৫৬ কোটি রুপি মূল্যের ১৪.২ কেজি বিদেশি সোনা খুঁজে পাওয়া যায়।

গ্রেপ্তারের পরে নায়িকাকে বিশদ তদন্তের জন্য নাগাভারায় ডিআরআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রান্যা দাবি করেছেন ব্ল্যাকমেইল করে তাকে দিয়ে সোনা পাচার করানো হয়।

এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুতে অর্থনৈতিক অপরাধের জন্য বিশেষ আদালত অভিনেত্রী রানিয়া রাওকে ১০ মার্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডিআরআই-এর হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছে। আদালত তাকে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছে এবং প্রতিদিন আধা ঘণ্টার জন্য তার আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে। এছাড়াও, আদালত ডিআরআই-কে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলেছে, যাতে নিশ্চিত করা হয় যে তাকে কোনোভাবে হুমকি দেওয়া হবে না এবং তিনি প্রয়োজনীয় মৌলিক সুবিধা পাবেন। এছাড়াও রান্যা রাওয়ের সোনা পাচার মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই। ‘সিএনএন’ ও ‘নিউজ ১৮’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সিবিআইয়ের একটি দল বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছে। একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেটের সাথে অভিনেত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত করবে তারা।