মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

কালের সাক্ষী এখনো দাঁড়িয়ে আছে কচুয়ায় ২শ বছরের পুরোনো বটগাছ

এক সময় এই বট গাছের তলায় সাধারন মানুষ ও কৃষকরা নিবিড় ছায়া আশ্রয় নিত,এখনো বটের ছায়া আশ্রয় নিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেকে। তবে অনেকেই বলছেন এ বট গাছের বয়স প্রায় ২শ থেকে ২৫০ বছর। তবে নির্দিষ্ট ভাবে কেউ বলতে না পারলে ধারনা করা হচ্ছে তার বয়স ২শ বছর।

 

কচুয়া সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সাচার ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের সাচার নাগরপাড়া এলাকায় বিলের পাশে এ বটগাছটি দাড়িয়ে আছে। তবে এখানে রয়েছে ঈদগাঁ মাঠ,একটি টিউবওয়েল,নামাজ পড়ার স্থান ও পারিবারিক কবরস্থান। অনেকে কৃষক দুপুর বেলায় মাঠে কাজ করতে এসে বিশ্রাম নেন এখনো পানিও পান করেন।

জানা যায়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে এই বট গাছটি। শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা জন্ম দিয়েছে। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে কবরস্থান ও ঈদগাঁ মাঠ ।

 

এদিকে বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো।

সাচার নাগরপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সুরুজ মিয়া জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন । তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ বছরের অধিক হতে পারে।

আরেকজন নুরুল হক প্রধান বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।

ছবি: কচুয়ার সাচার এলাকায় বিলের পাশে ২শ বছরের পুরানো বটগাছ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

কালের সাক্ষী এখনো দাঁড়িয়ে আছে কচুয়ায় ২শ বছরের পুরোনো বটগাছ

আপডেট সময় : ০৬:৩২:৫১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

এক সময় এই বট গাছের তলায় সাধারন মানুষ ও কৃষকরা নিবিড় ছায়া আশ্রয় নিত,এখনো বটের ছায়া আশ্রয় নিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেকে। তবে অনেকেই বলছেন এ বট গাছের বয়স প্রায় ২শ থেকে ২৫০ বছর। তবে নির্দিষ্ট ভাবে কেউ বলতে না পারলে ধারনা করা হচ্ছে তার বয়স ২শ বছর।

 

কচুয়া সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সাচার ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের সাচার নাগরপাড়া এলাকায় বিলের পাশে এ বটগাছটি দাড়িয়ে আছে। তবে এখানে রয়েছে ঈদগাঁ মাঠ,একটি টিউবওয়েল,নামাজ পড়ার স্থান ও পারিবারিক কবরস্থান। অনেকে কৃষক দুপুর বেলায় মাঠে কাজ করতে এসে বিশ্রাম নেন এখনো পানিও পান করেন।

জানা যায়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে এই বট গাছটি। শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা জন্ম দিয়েছে। বটগাছের নিচে ও পাশে রয়েছে কবরস্থান ও ঈদগাঁ মাঠ ।

 

এদিকে বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো।

সাচার নাগরপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সুরুজ মিয়া জানান, আসলে এই গাছটির সঠিক বয়স কত সেটি আমরা কেউ জানিনা। আমার বাবা-দাদা তারাও আমাদেকে সঠিক বয়স বলতে পারেনি। আমার দাদার মুখে শুনেছি উনার ছোটবেলাতে সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতেন । তবে অনুমান করা যায়, এই গাছের বয়স প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ বছরের অধিক হতে পারে।

আরেকজন নুরুল হক প্রধান বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমাদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।

ছবি: কচুয়ার সাচার এলাকায় বিলের পাশে ২শ বছরের পুরানো বটগাছ।