শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ক্যাম্পাসে ছাড়লেন ইবি শিক্ষক

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম জুলাই আন্দোলন বিরোধীতা করায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দুপুর ১২টায় প্রশাসন ভবনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কমিটির মিটিংয়ে অংশ নেন বিভাগীয় সভাপতিরা। সভায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অংশগ্রহণ থাকায় এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকেরা সভা থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন।

তারপরে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম প্রশাসন ভবন থেকে বের হয়ে বিভাগের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় পেছন থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করে। পরে তিনি বিভাগের সভাপতির কক্ষে অবস্থান করলেও কক্ষের বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা লাগাতার স্লোগান দেন। পরবর্তীতে প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যস্থতায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে করে নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিনি প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের হয়ে কাজ করেন। ওই সময় আন্দোলনকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে শাপলা ফোরামের ব্যানারে করা মিছিলে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, তিনি যদি আজকে পর থেকে এই চেয়ারম্যান কক্ষে আসে তাহলে আন্দোলন আরো জোরদার হবে।

এদিকে অভিযোগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে ফোন কলে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, অফিসিয়াল চিঠিতে সব অনুষদের ডিন ও সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি তার নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের অবহিত করেননি। সভা শেষে আমরা তাকে ভ্যানে তুলে দিয়েছি। এরপর তার বিভাগে গিয়েও কথা বলেছি। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যস্থতায় তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপাতত তাঁর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ক্যাম্পাসে ছাড়লেন ইবি শিক্ষক

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৩২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম জুলাই আন্দোলন বিরোধীতা করায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দুপুর ১২টায় প্রশাসন ভবনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কমিটির মিটিংয়ে অংশ নেন বিভাগীয় সভাপতিরা। সভায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের অংশগ্রহণ থাকায় এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকেরা সভা থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন।

তারপরে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম প্রশাসন ভবন থেকে বের হয়ে বিভাগের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় পেছন থেকে শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করে। পরে তিনি বিভাগের সভাপতির কক্ষে অবস্থান করলেও কক্ষের বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা লাগাতার স্লোগান দেন। পরবর্তীতে প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যস্থতায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে করে নিরাপদে ক্যাম্পাস থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিনি প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের হয়ে কাজ করেন। ওই সময় আন্দোলনকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে শাপলা ফোরামের ব্যানারে করা মিছিলে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, তিনি যদি আজকে পর থেকে এই চেয়ারম্যান কক্ষে আসে তাহলে আন্দোলন আরো জোরদার হবে।

এদিকে অভিযোগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে ফোন কলে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, অফিসিয়াল চিঠিতে সব অনুষদের ডিন ও সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি তার নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের অবহিত করেননি। সভা শেষে আমরা তাকে ভ্যানে তুলে দিয়েছি। এরপর তার বিভাগে গিয়েও কথা বলেছি। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যস্থতায় তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপাতত তাঁর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।