অপবিত্র অবস্থায় সেহরি করলে রোজা হবে কি

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:২৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • ৭০৯ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষার পর আবারও এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। আকাঙ্ক্ষিত এই মাস মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যে কারণে আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকাকেই রোজা বলা হয়।

আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয়। যদিও এটি নিয়ে বেশকিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান, যেগুলো নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তেমনই একটি হচ্ছে, ফরজ গোসলের আগে সেহরি খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে।

রমজান মাসে রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরি খাওয়া সুন্নত।

ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হয়ে নেয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়।

গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়। কারণ সেহরি খাওয়ার জন্য পবিত্রতা ফরজ নয়, বরং সুন্নত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুভাবেই বর্ণিত আছে। তাই গোসল ফরজ অবস্থায়ও সেহরি খাওয়া যায়।

কিন্তু নামাজ আদায় করার জন্য পবিত্রতা ফরজ। এ বিষয়ে মুসলিম শরিফে বলা হয়েছে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অপবিত্র অবস্থায় সেহরি করলে রোজা হবে কি

আপডেট সময় : ১১:২৯:২৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষার পর আবারও এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। আকাঙ্ক্ষিত এই মাস মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যে কারণে আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকাকেই রোজা বলা হয়।

আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয়। যদিও এটি নিয়ে বেশকিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান, যেগুলো নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তেমনই একটি হচ্ছে, ফরজ গোসলের আগে সেহরি খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে।

রমজান মাসে রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরি খাওয়া সুন্নত।

ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হয়ে নেয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়।

গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়। কারণ সেহরি খাওয়ার জন্য পবিত্রতা ফরজ নয়, বরং সুন্নত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুভাবেই বর্ণিত আছে। তাই গোসল ফরজ অবস্থায়ও সেহরি খাওয়া যায়।

কিন্তু নামাজ আদায় করার জন্য পবিত্রতা ফরজ। এ বিষয়ে মুসলিম শরিফে বলা হয়েছে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ।