শিরোনাম :
Logo সুন্দরবনে বৈচিত্র্যের সন্ধানে  Logo উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক ইবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের Logo পরীক্ষায় অসদুপায়ের দায়ে নোবিপ্রবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার Logo রমজানের লম্বা ছুটিতে ভোগান্তিতে পরেন ইবির ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা Logo উপদেষ্টা ফারুকীকে নিয়ে যা বললেন প্রিন্স মাহমুদ Logo রিজার্ভ ডে থাকছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে Logo চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১৮ মাসে মাদক নির্মূলে  অভিযান Logo পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ডাকাতি করে পালানোর সময় আন্তজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য আটক। Logo হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি Logo ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশনের ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট’

রমজানের লম্বা ছুটিতে ভোগান্তিতে পরেন ইবির ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা

পবিত্র রমজান, ঈদ-উল-ফিতর এবং শুভ দোলযাত্রা মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আগামী শনিবার থেকে ৩৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবারই রমজানের ছুটি আসলে খাওয়া দাওয়া নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। তাই এই ভোগান্তি থেকে নিরসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সনাতন ধর্মাবলম্বী হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার মালাকার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সকল ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু রমজান মাসে আমাদের হলগুলোতে কোন রান্না না হওয়ায় এতে করে আমাদের ক্যাম্পাসের বাইরের খাবারের উপর নির্ভরশীল হতে হয় কিন্তু দেখা যায় ক্যাম্পাসের বাইরে খেতে গেলে যেমনি হয় কষ্টসাধ্য তেমনি হয় ব্যয়বহুল। এছাড়াও হল গুলোতে মাঝেমধ্যে গরুর মাংসের উপকরণ বা জিনিসপত্র মুরগি, মাছ বা অন্য তরকারিতেও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটি তাদের জন্য সংবেদনশীল বিষয় বলে জানান তারা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফলিন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ দিলে অধিকাংশ হলের ডাইনি বন্ধ হয়ে যায় এতে করে খাওয়া দাওয়া নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ক্যাম্পাসে অন্তত একটি ক্যান্টিন বা খাবারের জায়গা খোলা রাখা দরকার, যাতে যারা রোজা রাখছেন না বা যারা ক্যাম্পাসে থাকবেন, তারা খাবারের অভাব বোধ না করেন। আবাসিক হল বন্ধ না করে খোলা রাখা উচিত, যেন দূর-দুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা থাকে। কারণ আমরা পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা অনেক দূর থেকে আসে, ফলে বাড়ি ফেরা ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।

এদিকে ফোন কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, আপাতত হল পূর্বের নিয়মেই চলবে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হলাম। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য অন্তত একটি হলে খাবারের ব্যবস্থা এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গরুর মাংস নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে সেটি আগামীকাল রবিবার প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ে উত্থাপন করবো।

উল্লেখ্য, আজকে থেকে ৮ এপ্রিল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে সবুজ চিহ্নিত বন্ধকালীন সময়ে কোনো বিভাগ পরীক্ষা নিতছ চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিবহন অফিসের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এদিকে ২৬ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল অফিস সমূহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া রমজানে অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে বিকাল ৪ টার পরিবর্তে সাড়ে ৩টা করা হয়েছে।

ট্যাগস :

সুন্দরবনে বৈচিত্র্যের সন্ধানে 

রমজানের লম্বা ছুটিতে ভোগান্তিতে পরেন ইবির ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৮:১০:২৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

পবিত্র রমজান, ঈদ-উল-ফিতর এবং শুভ দোলযাত্রা মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আগামী শনিবার থেকে ৩৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবারই রমজানের ছুটি আসলে খাওয়া দাওয়া নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। তাই এই ভোগান্তি থেকে নিরসনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সনাতন ধর্মাবলম্বী হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার মালাকার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সকল ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু রমজান মাসে আমাদের হলগুলোতে কোন রান্না না হওয়ায় এতে করে আমাদের ক্যাম্পাসের বাইরের খাবারের উপর নির্ভরশীল হতে হয় কিন্তু দেখা যায় ক্যাম্পাসের বাইরে খেতে গেলে যেমনি হয় কষ্টসাধ্য তেমনি হয় ব্যয়বহুল। এছাড়াও হল গুলোতে মাঝেমধ্যে গরুর মাংসের উপকরণ বা জিনিসপত্র মুরগি, মাছ বা অন্য তরকারিতেও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটি তাদের জন্য সংবেদনশীল বিষয় বলে জানান তারা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফলিন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ দিলে অধিকাংশ হলের ডাইনি বন্ধ হয়ে যায় এতে করে খাওয়া দাওয়া নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ক্যাম্পাসে অন্তত একটি ক্যান্টিন বা খাবারের জায়গা খোলা রাখা দরকার, যাতে যারা রোজা রাখছেন না বা যারা ক্যাম্পাসে থাকবেন, তারা খাবারের অভাব বোধ না করেন। আবাসিক হল বন্ধ না করে খোলা রাখা উচিত, যেন দূর-দুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা থাকে। কারণ আমরা পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা অনেক দূর থেকে আসে, ফলে বাড়ি ফেরা ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।

এদিকে ফোন কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, আপাতত হল পূর্বের নিয়মেই চলবে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হলাম। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য অন্তত একটি হলে খাবারের ব্যবস্থা এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গরুর মাংস নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে সেটি আগামীকাল রবিবার প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ে উত্থাপন করবো।

উল্লেখ্য, আজকে থেকে ৮ এপ্রিল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে সবুজ চিহ্নিত বন্ধকালীন সময়ে কোনো বিভাগ পরীক্ষা নিতছ চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিবহন অফিসের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এদিকে ২৬ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল অফিস সমূহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া রমজানে অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে বিকাল ৪ টার পরিবর্তে সাড়ে ৩টা করা হয়েছে।