নিউজ ডেস্ক:
যে গানের কারণে তার দেশব্যাপী পরিচিতি সেই গানের কারণেই ঘর ভাঙল ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সংগীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার। সালমা-শিবলী সাদিকের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের ডিভোর্সের কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সালমা।
এ প্রসঙ্গে সালমা বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে।’ কিন্তু কেন আপনারা এমন সিদ্ধান্ত নিলেন এ প্রশ্নের উত্তরে সালমা বলেন, ‘২০১০ সালে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন চাইতো না আমি গান করি। তাদের না চাওয়ার কারণে গত ৪ বছর আমি গান থেকে দূরে ছিলাম। টিভি প্রোগ্রাম, কনসার্টসহ সব রকম গানের অনুষ্ঠান থেকে দূরে ছিলাম। এই গানের কারণে ও (শিবলী) আমাকে মারধর করত। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য।’
সালমা আরো বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি একটি অ্যালবামের সঙ্গে ওকে সম্পৃক্ত করি। যাতে বিষয়টি ও স্বাভাবিকভাবে নেয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারপর গত ৪ মাস ধরে আমি আলাদা থাকছি। ভেবেছিলাম দূরে থাকলে হয়তো ও ফিল করবে। তাতে হয়তো সম্পর্কটা ভালো হবে। কিন্তু তা আর হয়নি।’
গত ১৯ নভেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দুই পরিবারের সদস্যরা বসে এ বিষয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন। সমাধান না হওয়ায় ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান সালমা। ‘আমার পরিবার সামাজিকভাবে ওর পরিবারের চেয়ে ছোট হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার পরিবারকে ভালোভাবে গ্রহণ করত না।’ জানিয়ে সালমা আরো বলেন, ‘আমার বাবা-মাকে ও (শিবলী) কোনো দিন সালাম পর্যন্ত দেয়নি।’
এ প্রতিবেদককে সালমা জানান, তিনি শুনেছেন একাধিক মেয়ের সঙ্গে শিবলীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি শিবলী আরেকটি বিয়েও করেছেন। সে ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে।
সালমা-শিবলী দম্পতির স্নেহা নামে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ৪ মাস ধরে শিবলীর কাছেই রয়েছে মেয়েটি। সালমা অভিযোগ করেন, এতদিন তাকে মেয়ের মুখ পর্যন্ত দেখতে দেয়নি। তবে এখন থেকে মেয়ে দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সালমা।