নিউজ ডেস্ক:
শীতের পিঠা ভারি মিঠা’ এই স্লোগানে আবারো শীতের পিঠা উৎসব নিয়ে হাজির হয়েছে ওয়াশিংটনের জনপ্রিয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামেলি। টাটকা চালের গুড়ি দিয়ে তৈরি করা নানা বাহারি পিঠা পুলি নিয়ে বাঙালিরা হাজির হয় পিঠা উৎসবে। আর পিঠার সেই মৌ মৌ গন্ধে দেশে বিদেশে আয়োজিত পিঠা উৎসবে হাজির হন হাজার হাজার বাঙালি।
দেশে ধান তোলার মৌসুমে মাঠে মাঠে কৃষকের ধুম লেগে যায় ধান কেটে গোলায় ধান তোলার। পুরো বাংলাদেশের ধানকাটাকে কেন্দ্র করে গ্রাম থেকে গ্রামে ভাসে আনন্দের বন্যায়। ধান কাটা ও গোলায় ভরার এ উৎসবে থাকে পিঠার আমন্ত্রণ। শীতের সকালে খেজুর রসের স্বাদই আলাদা। সে রসে ভেজানো চিতই পিঠার ঘ্রাণ টানে দেশের মানুষকে। এমনকি শীতের পিঠার ঘ্রাণ এখন প্রবাসে বসবাসরত বাঙালিদেরকেও টেনে নিয়ে যায় প্রবাসের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত পিঠা উৎসবে। প্রবাসের ঘরে ঘরেও পারিবারিক পরিবেশে বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন নিয়ে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসবের এবং এইসব উৎসবে স্বপরিবারে অংশগ্রহণ করে হাজার হাজার বাঙালি।
ওয়াশিংটনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামেলি আগামী ২৮ জানুয়ারি শনিবার আবারো ওয়াশিংটন প্রবাসী বাঙালিদের জন্য আয়োজন করেছে শীতের পিঠা উৎসব। পিঠা উৎসব ভার্জিনিয়ার উডব্রীজ শহরের ফ্রিডম হাইস্কুল অডিটরিয়াম, ১৫২০১ নাবিস্কো মিল রোড, উডব্রীজ, ভার্জিনিয়া ২২১৯১ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চলবে এই পিঠা উৎসবের অনুষ্ঠান। পিঠার উৎসবের পাশাপাশি থাকবে নাচে গানে ভরপুর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পী শুভ্রদেব।
পিঠা উৎসবের আয়োজক ও ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামেলির পরিচালক আবু রুমি বলেন, শীতের হিমে পিঠার স্বাদ বাঙালির আদি খাদ্য সংস্কৃতির অংশ। বাংলার চিরায়ত লোকজ খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠা-পায়েস একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। প্রতিবছরই শীতকালে দেশজুড়ে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে ধুম পড়ে যায় পিঠা বানানোর। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গাঁয়ের বধূরা চুলোর পাশে বসে পিঠা তৈরিতে কাটান ব্যস্ত সময়। গ্রাম বাংলার এই পিঠা বানানোর নান্দনিকতা প্রবাসের এই ব্যস্ত যান্ত্রিক জীবনে পাওয়া যাবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামেলীর এই উৎসবে শীতের পিঠার সুবাস ছড়িয়েছে প্রবাসী বাঙালীর মনে প্রানে। তাই আগামি ২৮ জানুয়ারী ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামেলীর পিঠা উৎসবে সবাইকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি।
পিঠা উৎসবের আয়োজক ও পরিচলাক আকতার হোসেন বলেন, শীতের মৌসুমে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। মামা বাড়ি বেড়াতে যায় বাড়ির ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। গ্রামে গ্রামে পিঠার ধুম পড়ে যায়। এটা শাশ্বত বাংলার ছবি। বাঙালিরা চিরকালই অতিথি পরায়ণ। সামাজিক বন্ধনটিও শক্ত তাদের। কাউকে না বলে তারা খায় না। সবাই মিলে এক জায়গায় হবে। খাবে, আনন্দ করবে-সে আনন্দের ভাগ সবাই পাবে। এ জন্যই শীতে তাদের আয়োজন। বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য প্রতি বছরই ওয়াশিংটনে পিঠা উৎসব হয়ে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই আগামি ২৮ জানুয়ারী ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামেলীর পিঠা উৎসবে সবাইকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি।