আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা আবাসনে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা আবাসনের ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার লাল্টুকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এদিকে, নির্যাতিতা ওই মাদ্রাসাছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি কনসালট্যান্ট ডা. হোসনে জারি তহমিনা আঁখিসহ তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।গত শনিবার রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনের বাসিন্দা ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা-মাকে মারধর করে বেঁধে রেখে তাকে একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে গ্রামের লাল্টু, শরীফুল ও রাজু নামের তিনজন গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিত ওই পরিবারের দাবি, আগের ধর্ষণচেষ্টার মামলা তুলে না নেওয়ার কারণেই গত শনিবার রাতে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত রোববার দুপুরে আলমডাঙ্গা থানাতে নির্যাতিতা ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। যার নম্বর ২২। আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি লাল্টুকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মাসখানেক আগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান, এ অভিযোগে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালত ‘ক’ অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। গত রোববার ছিল ওই মামলার ধার্য দিন। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে এজাহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য দুজন আসামিকেও গ্রেপ্তারের অভিযান প্রক্রিয়াধীন। এদিকে, আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা আবাসনের মাদ্রাসাছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। একপক্ষ ধর্ষণের ঘটনাটি সাজানো দাবি করলেও অন্যপক্ষ বলছে, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত নারীলিপ্সু। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, মেডিকেল রিপোর্টে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি।এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. শিরিন জেবিন সুমির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।