শিরোনাম :
Logo সেনাবাহিনী সব সময় জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে : সেনাপ্রধান Logo জীবননগরের উথলীতে আবারও রেললাইনে ফাটল, তবে স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচল Logo Alpha connect day প্রতিযোগিতায় দেশসেরা জাককানইবির আশরাফুল ইসলাম Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের সফল অভিযান; গত ৩ মাসে ১০৩ জন কিশোর গ্যাং ও ডাকাত আটক Logo শেরপুরে ৫ দফা দাবিতে মউশিক শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা ও ইফতার মাহফিল Logo ইসবগুল যেভাবে খেলে বেশি উপকার মেলে Logo জিহ্বা দেখেই বুঝে নিন শরীরে কোন রোগ বাসা বেঁধেছে Logo ঈদ উদযাপনে পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা আসিফ মাহমুদ এর Logo মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে এলো জাহাজভর্তি মাটিমিশ্রিত কয়লার চালান

মিয়ানমারে গণহত্যা : হাজারো জনতার জাতিসঙ্ঘের সামনে বিক্ষোভ !

  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের আরকান প্রদেশে অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ওয়ার্ল্ড রোহিঙ্গা অর্গানাইনাইজেশনের নেতৃত্বাধীন ১২টি সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের একটি জোট। ‘আমেরিকান ইউনাইটেড এগেইন্সট জেনোসাইড রোহিঙ্গাস ইন মিয়ানমার’ নিউ ইয়র্কের জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরের সামনে বুধবার দুপুর ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি। এসময় প্রবল শৈতপ্রবাহ উপেক্ষা করে শত শত নারী পুরুষ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তুলে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতর প্রাঙ্গন।
ওয়ার্ল্ড রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনূষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বার্মা ইসলামিক সার্কেল অফ নর্থ আমেরিকার সেক্রেটারি তারিকুর রহমান, মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার সহকারি সেক্রেটারি সিপিএ আরমান চৌধুরী, বার্মা টাস্ক ফোর্সর পরিচালক আদম ক্যারল, বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিল-এর সভাপতি এন মজুমদার, সাউথ এশিয়ান সলিডারিটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইমরান আনসারী, ইউনাইটেড ওলামা কাউন্সিল অব ইউএসএ-এর সভাপতি মুফতি লুৎফুর রহমান কাসেমি, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হোসনে আরা বেগম প্রমূখ।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা মহিউদ্দিন ইউসুফ । এতে দাবি তোলা হয়, রোহিঙ্গা গনহত্যা বন্ধে সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার সমুন্নত করতে তাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। অবিলম্বে রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত সামরিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। বুদ্ধিস্ট জঙ্গিদের অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধে চালানো বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য বন্ধ করতে হবে। মিয়ানমারে চলমান নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত করতে হবে।
ইকনার সেক্রেটারি তারিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে গণহত্যার বিষয়টি তদন্ত করতে জাতিসঙ্ঘ অবিলম্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং দোষীদের আন্তর্জাতিক আদলতের মুখোমুখি করে বিচার নিশ্চিত করবে।
মুনার কেন্দ্রীয় নেতা আরমান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের জনগণ আজ রাষ্ট্রবিহীন নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উপর চলা নির্যাতন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে মিয়ানমার সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ইমরান আনসারী বলেন, জাতিসঙ্ঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে মিয়ানমারে । সুতরাং তার কাছে আমাদের প্রত্যাশা খুবই কম। আমাদের দাবি জাতিসঙ্ঘের নতুন মহাসচিব গুতেরাসের কাছে। মিয়ানমারে যা চলছে তা গণহত্যার চেয়ে আরো ভয়াবহ। তাই রোহিঙ্গা মুসলিমদের রক্ষায় জাতিসঙ্ঘ অবিলম্বে মিয়ানমারে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ করতে হবে।
এর মূল কথা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের উৎখাত। মিয়ানমারে শুধু মুসলামানদের হত্যা করছে না তারা মানবতাকে হত্যা করছে।
এন মজুমদার বলেন, মানবতার পক্ষে আজকে সরকারকে দাঁড়াতেই হবে। বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে হবে।
বার্মা টাস্ক ফোর্সের পরিচালক আদম ক্যারল বলেন, আমরা যুগের পর যুগ মিয়ানামারের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছি। কিন্তু মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার তাদের অধিকার রক্ষার চেয়ে অধিকার হননে মদদ দিচ্ছে।
কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হোসনে আরা বেগম বলেন, আমি একজন নারী, আমি একজন মা। সোস্যাল মিডিয়ায় নারী ও শিশুদের অত্যাচার আর সইতে পারছি না। মিয়ানমারের নারী ও শিশুদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক বিশ্বের ভূমিকায় আমি হতাশ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি প্রকাশকারী সংগঠনগুলো হচ্ছে- ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা, মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা, বার্মা টাস্ক ফোস, বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিল, সাউথ এশিয়ান সলিডারিটি ফাউন্ডেশন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাবাহিনী সব সময় জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে : সেনাপ্রধান

মিয়ানমারে গণহত্যা : হাজারো জনতার জাতিসঙ্ঘের সামনে বিক্ষোভ !

আপডেট সময় : ০৬:৩২:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের আরকান প্রদেশে অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ওয়ার্ল্ড রোহিঙ্গা অর্গানাইনাইজেশনের নেতৃত্বাধীন ১২টি সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের একটি জোট। ‘আমেরিকান ইউনাইটেড এগেইন্সট জেনোসাইড রোহিঙ্গাস ইন মিয়ানমার’ নিউ ইয়র্কের জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরের সামনে বুধবার দুপুর ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি। এসময় প্রবল শৈতপ্রবাহ উপেক্ষা করে শত শত নারী পুরুষ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তুলে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতর প্রাঙ্গন।
ওয়ার্ল্ড রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনূষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বার্মা ইসলামিক সার্কেল অফ নর্থ আমেরিকার সেক্রেটারি তারিকুর রহমান, মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকার সহকারি সেক্রেটারি সিপিএ আরমান চৌধুরী, বার্মা টাস্ক ফোর্সর পরিচালক আদম ক্যারল, বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিল-এর সভাপতি এন মজুমদার, সাউথ এশিয়ান সলিডারিটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইমরান আনসারী, ইউনাইটেড ওলামা কাউন্সিল অব ইউএসএ-এর সভাপতি মুফতি লুৎফুর রহমান কাসেমি, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হোসনে আরা বেগম প্রমূখ।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে জোটের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা মহিউদ্দিন ইউসুফ । এতে দাবি তোলা হয়, রোহিঙ্গা গনহত্যা বন্ধে সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার সমুন্নত করতে তাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। অবিলম্বে রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত সামরিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। বুদ্ধিস্ট জঙ্গিদের অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধে চালানো বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য বন্ধ করতে হবে। মিয়ানমারে চলমান নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত করতে হবে।
ইকনার সেক্রেটারি তারিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমারে গণহত্যার বিষয়টি তদন্ত করতে জাতিসঙ্ঘ অবিলম্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং দোষীদের আন্তর্জাতিক আদলতের মুখোমুখি করে বিচার নিশ্চিত করবে।
মুনার কেন্দ্রীয় নেতা আরমান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের জনগণ আজ রাষ্ট্রবিহীন নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উপর চলা নির্যাতন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে মিয়ানমার সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ইমরান আনসারী বলেন, জাতিসঙ্ঘের বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে মিয়ানমারে । সুতরাং তার কাছে আমাদের প্রত্যাশা খুবই কম। আমাদের দাবি জাতিসঙ্ঘের নতুন মহাসচিব গুতেরাসের কাছে। মিয়ানমারে যা চলছে তা গণহত্যার চেয়ে আরো ভয়াবহ। তাই রোহিঙ্গা মুসলিমদের রক্ষায় জাতিসঙ্ঘ অবিলম্বে মিয়ানমারে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ করতে হবে।
এর মূল কথা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের উৎখাত। মিয়ানমারে শুধু মুসলামানদের হত্যা করছে না তারা মানবতাকে হত্যা করছে।
এন মজুমদার বলেন, মানবতার পক্ষে আজকে সরকারকে দাঁড়াতেই হবে। বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে হবে।
বার্মা টাস্ক ফোর্সের পরিচালক আদম ক্যারল বলেন, আমরা যুগের পর যুগ মিয়ানামারের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছি। কিন্তু মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার তাদের অধিকার রক্ষার চেয়ে অধিকার হননে মদদ দিচ্ছে।
কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হোসনে আরা বেগম বলেন, আমি একজন নারী, আমি একজন মা। সোস্যাল মিডিয়ায় নারী ও শিশুদের অত্যাচার আর সইতে পারছি না। মিয়ানমারের নারী ও শিশুদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক বিশ্বের ভূমিকায় আমি হতাশ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি প্রকাশকারী সংগঠনগুলো হচ্ছে- ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা, মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা, বার্মা টাস্ক ফোস, বাংলাদেশ আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিল, সাউথ এশিয়ান সলিডারিটি ফাউন্ডেশন।