শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

তিস্তার পানি বৃদ্ধি শত শত পরিবার পানি বন্দী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৮:৩১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ৭৮৪ বার পড়া হয়েছে

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি হুহু করে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা পাড়ের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়েছে এবং বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় আমন ধান খেত ডুবে গিয়ে ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিতি দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ৫ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতের মধ্যে বিপদসীমা আরও উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এমনটি ধারনা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানির সমতল ছিল ৫২.২০ মিটার, যেখানে বিপদসীমা নির্ধারিত রয়েছে ৫২.১৫ মিটার। এর আগে সকাল ৯ টায় এই পয়েন্টে পানি ছিল বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ১৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

সিন্দর্না ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম বলেন, এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আমার ইউনিয়নে চরাঞ্চলের প্রায় শত শত পরিবার পানি বন্দী হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক আমন ধান ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, বন্যা হলেই কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। পানি বাড়ায় ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বলেন, বিকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় এক হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পরেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা বলেন, আমি সব সময় খবর রাখতেছি। আমার জানামতে এ পর্যন্ত অনেক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে এবং সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নে একটি বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে।

আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, “উজান থেকে পানি আসার পাশাপাশি সকালেও বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করছে। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তিস্তার পানি বৃদ্ধি শত শত পরিবার পানি বন্দী

আপডেট সময় : ০৮:০৮:৩১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি হুহু করে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা পাড়ের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়েছে এবং বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় আমন ধান খেত ডুবে গিয়ে ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিতি দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ৫ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতের মধ্যে বিপদসীমা আরও উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এমনটি ধারনা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানির সমতল ছিল ৫২.২০ মিটার, যেখানে বিপদসীমা নির্ধারিত রয়েছে ৫২.১৫ মিটার। এর আগে সকাল ৯ টায় এই পয়েন্টে পানি ছিল বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ১৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

সিন্দর্না ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম বলেন, এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আমার ইউনিয়নে চরাঞ্চলের প্রায় শত শত পরিবার পানি বন্দী হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক আমন ধান ক্ষেতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, বন্যা হলেই কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। পানি বাড়ায় ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বলেন, বিকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় এক হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পরেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা বলেন, আমি সব সময় খবর রাখতেছি। আমার জানামতে এ পর্যন্ত অনেক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে এবং সিংঙ্গীমারী ইউনিয়নে একটি বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে।

আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, “উজান থেকে পানি আসার পাশাপাশি সকালেও বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করছে। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।