বাবুলকেই সন্দেহ করছি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:২৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় এখন তার স্বামী প্রাক্তন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকেই সন্দেহ করছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘মিতু ও বাবুলের দুই সন্তান আছে। তাদের কথা চিন্তা করে কোনো টু শব্দ করেনি। বাবুলকে কোনো সময় সন্দেহও হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি যেসব তথ্য বের হচ্ছে- বাসা ছেড়ে চলে যাওয়া, মিডিয়া বা অন্য কারো সঙ্গে কথা না বলা এসব তদন্ত করে দেখা উচিত।

মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের প্রাক্তন এ ইন্সপেক্টর বলেন,  ‘ঘটনার পর থেকেই বাবুল কোনো কথা বলছে না। নীরব থাকছে। মিডিয়াকেও কিছু বলছে না। গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কী কথা হয়েছে, তারও কিছুই জানায়নি। যদি সে জড়িত না হয়, তাহলে এমন আচরণ কেন করবে? একই সঙ্গে মিতু হত্যার পর বাবুল আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। খবরও দেয়নি। অন্যদের কাছ থেকে মিতুর সংবাদ পাই। মামলার বাদিও সে হয়েছে। কিন্তু বাদি হিসেবে সে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে না।

প্রশ্নে মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল ফেসবুকে যা লিখেছে তা তার ব্যক্তিগত মত। এতে তো আর হত্যাকাণ্ড বা তদন্ত লুকানো যাবে না। মামলার কী অবস্থা, তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক মতো তদন্ত করছেন কি না, তার কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না তার বিরুদ্ধে যেসব তথ্য আসছে তার যুক্তিখণ্ডন করা, চাকরি ছেড়ে দেওয়া, যেসব সোর্সের নাম আসছে বা গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের তথ্য যা তার স্ত্রী হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে লিখতে পারত, তা না করে শালিকাকে বিয়ে, ১০ লাখ টাকা দাবি ইত্যাদি সব মিথ্যা কথা বলেছে।

বাবুল আক্তারকে সন্দেহ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, মিতু মারা যাওয়ার তিন দিন আগে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, যা তার ছেলে একাধিবার বলেছে। বাবুলের বাসার কাজের মেয়ে এবং আশপাশের লোকজন মিতুকে নির্যাতনের কথা বলেছে। অনেক সময় নির্যাতন সইতে না পেরে মিতু বাসা থেকে বেরও হয়ে যেত, যা চট্টগ্রাম গিয়ে জানতে পারি। আর এসব কথা এত দিন দুই নাতি-নাতনি এবং বাবুলের চাকরি যেন না যায় সে কথা চিন্তা করে বলেনি। এখন মনে হচ্ছে সোর্স ভাড়া করে বাবুল মিতুকে হত্যা করায় এবং পরে সব নাটক সাজায়।

তিনি মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনতে জোর দাবি জানান।
গত বছরের ৫ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এরপর এ ঘটনায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার নানা তথ্য উঠে আসে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাবুলকেই সন্দেহ করছি !

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:২৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় এখন তার স্বামী প্রাক্তন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকেই সন্দেহ করছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘মিতু ও বাবুলের দুই সন্তান আছে। তাদের কথা চিন্তা করে কোনো টু শব্দ করেনি। বাবুলকে কোনো সময় সন্দেহও হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি যেসব তথ্য বের হচ্ছে- বাসা ছেড়ে চলে যাওয়া, মিডিয়া বা অন্য কারো সঙ্গে কথা না বলা এসব তদন্ত করে দেখা উচিত।

মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের প্রাক্তন এ ইন্সপেক্টর বলেন,  ‘ঘটনার পর থেকেই বাবুল কোনো কথা বলছে না। নীরব থাকছে। মিডিয়াকেও কিছু বলছে না। গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কী কথা হয়েছে, তারও কিছুই জানায়নি। যদি সে জড়িত না হয়, তাহলে এমন আচরণ কেন করবে? একই সঙ্গে মিতু হত্যার পর বাবুল আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। খবরও দেয়নি। অন্যদের কাছ থেকে মিতুর সংবাদ পাই। মামলার বাদিও সে হয়েছে। কিন্তু বাদি হিসেবে সে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে না।

প্রশ্নে মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল ফেসবুকে যা লিখেছে তা তার ব্যক্তিগত মত। এতে তো আর হত্যাকাণ্ড বা তদন্ত লুকানো যাবে না। মামলার কী অবস্থা, তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক মতো তদন্ত করছেন কি না, তার কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না তার বিরুদ্ধে যেসব তথ্য আসছে তার যুক্তিখণ্ডন করা, চাকরি ছেড়ে দেওয়া, যেসব সোর্সের নাম আসছে বা গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের তথ্য যা তার স্ত্রী হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে লিখতে পারত, তা না করে শালিকাকে বিয়ে, ১০ লাখ টাকা দাবি ইত্যাদি সব মিথ্যা কথা বলেছে।

বাবুল আক্তারকে সন্দেহ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, মিতু মারা যাওয়ার তিন দিন আগে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, যা তার ছেলে একাধিবার বলেছে। বাবুলের বাসার কাজের মেয়ে এবং আশপাশের লোকজন মিতুকে নির্যাতনের কথা বলেছে। অনেক সময় নির্যাতন সইতে না পেরে মিতু বাসা থেকে বেরও হয়ে যেত, যা চট্টগ্রাম গিয়ে জানতে পারি। আর এসব কথা এত দিন দুই নাতি-নাতনি এবং বাবুলের চাকরি যেন না যায় সে কথা চিন্তা করে বলেনি। এখন মনে হচ্ছে সোর্স ভাড়া করে বাবুল মিতুকে হত্যা করায় এবং পরে সব নাটক সাজায়।

তিনি মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনতে জোর দাবি জানান।
গত বছরের ৫ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এরপর এ ঘটনায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার নানা তথ্য উঠে আসে।