শিরোনাম :
Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের Logo আন্তর্জাতিক কিশোর ফুটবল আসরে সুযোগ পেয়েছেন আবু তালহা

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারীর চমকপ্রদ কিছু তথ্য !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারী মিসরীয় নাগরিক ইমান আহমেদের দেহের ওজন এখন ৫০০ কেজি! চিকিৎসকরা বলেছেন, বেঁচে থাকতে চাইলে তার দেহের ওজন কমাতে হবেই। সম্প্রতি ৩৬ বছর বয়সী এ নারী ভারতে গেছেন তার দেহের ওজন কমানোর জন্য। আর তার দেহের পরিস্থিতিও যথেষ্ট জটিল। বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারীর চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নিন-

১. ইমান আহমেদের ওজন জন্মের সময় পাঁচ কেজি ছিল। তবে ১১ বছর বয়সে তার ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ক্লাস ফাইভে থাকার সময়ে তিনি থাইরয়েডের সমস্যায় স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন।
২. ওজন বাড়তে থাকায় তিনি অল্প বয়সেই হাঁটতে অক্ষম হয়ে পড়েন। এরপর থেকে তিনি শুধু হামাগুড়ি দিতে পারেন।
৩. ২০১৪ সালে তার দেহের ওজন দাঁড়ায় ৩০০ কেজিতে। তার দেহের কোলস্টেরলের মাত্রাও অনেক বেড়ে যায় এবং স্ট্রোকেরও শিকার হন। ২০১৬ সালে তার দেহের ওজন পাঁচ শ কেজিতে দাঁড়ায়। টাইপ টু ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয় তার।
৪. ইমান আহমেদের নানা জটিলতার কারণে ওজন হ্রাসের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় তার বোন সায়মা অর্থ সংগ্রহের জন্য অনলাইনে ক্যাম্পেইন করেন।
৫. চিকিৎসার জন্য ভারতের ভিসা সংগ্রহের কাজে প্রাথমিকভাবে তিনি ব্যর্থ হন। এরপর অবশ্য ভারতীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের হস্তক্ষেপে তার ভিসাপ্রাপ্তি ঘটে বলে জানা যায়।
৬. ভারতে যাওয়া মোটেই সহজ ছিল না ইমান আহমেদের। কারণ তিনি বিমানের সিটে বসতে অক্ষম। এ ছাড়া তার দেহের ওজনও বহনে রাজি ছিল না বিমান কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ইজিপ্টএয়ারের একটি এয়ারবাস ৩০০-৬০০ ফ্লাইটকে কিছুটা পরিবর্তিত করে তাকে বহন করার উপযোগী করা হয়।
৭. মুম্বাইয়ের বিমানবন্দরে নেমে সাইফি হাসপাতালে যাওয়াও সহজ ছিল না তার পক্ষে। কারণ অ্যাম্বুলেন্স কিংবা অন্যান্য গাড়িতে তার জায়গা হচ্ছিল না। তাই তার জন্য একটি খোলা ট্রাকের ব্যবস্থা করা হয়। এ ট্রাকে করে তিনি হাসপাতালে যান।
৮. হাসপাতালে তার জন্য একটি বিশেষ কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। তাকে যে কক্ষে রাখা হয়েছে, তা আগে অ্যাকাউন্ট অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে চিকিৎসকরা তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর তার চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারীর চমকপ্রদ কিছু তথ্য !

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারী মিসরীয় নাগরিক ইমান আহমেদের দেহের ওজন এখন ৫০০ কেজি! চিকিৎসকরা বলেছেন, বেঁচে থাকতে চাইলে তার দেহের ওজন কমাতে হবেই। সম্প্রতি ৩৬ বছর বয়সী এ নারী ভারতে গেছেন তার দেহের ওজন কমানোর জন্য। আর তার দেহের পরিস্থিতিও যথেষ্ট জটিল। বিশ্বের সবচেয়ে মোটা নারীর চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নিন-

১. ইমান আহমেদের ওজন জন্মের সময় পাঁচ কেজি ছিল। তবে ১১ বছর বয়সে তার ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ক্লাস ফাইভে থাকার সময়ে তিনি থাইরয়েডের সমস্যায় স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন।
২. ওজন বাড়তে থাকায় তিনি অল্প বয়সেই হাঁটতে অক্ষম হয়ে পড়েন। এরপর থেকে তিনি শুধু হামাগুড়ি দিতে পারেন।
৩. ২০১৪ সালে তার দেহের ওজন দাঁড়ায় ৩০০ কেজিতে। তার দেহের কোলস্টেরলের মাত্রাও অনেক বেড়ে যায় এবং স্ট্রোকেরও শিকার হন। ২০১৬ সালে তার দেহের ওজন পাঁচ শ কেজিতে দাঁড়ায়। টাইপ টু ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয় তার।
৪. ইমান আহমেদের নানা জটিলতার কারণে ওজন হ্রাসের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় তার বোন সায়মা অর্থ সংগ্রহের জন্য অনলাইনে ক্যাম্পেইন করেন।
৫. চিকিৎসার জন্য ভারতের ভিসা সংগ্রহের কাজে প্রাথমিকভাবে তিনি ব্যর্থ হন। এরপর অবশ্য ভারতীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের হস্তক্ষেপে তার ভিসাপ্রাপ্তি ঘটে বলে জানা যায়।
৬. ভারতে যাওয়া মোটেই সহজ ছিল না ইমান আহমেদের। কারণ তিনি বিমানের সিটে বসতে অক্ষম। এ ছাড়া তার দেহের ওজনও বহনে রাজি ছিল না বিমান কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ইজিপ্টএয়ারের একটি এয়ারবাস ৩০০-৬০০ ফ্লাইটকে কিছুটা পরিবর্তিত করে তাকে বহন করার উপযোগী করা হয়।
৭. মুম্বাইয়ের বিমানবন্দরে নেমে সাইফি হাসপাতালে যাওয়াও সহজ ছিল না তার পক্ষে। কারণ অ্যাম্বুলেন্স কিংবা অন্যান্য গাড়িতে তার জায়গা হচ্ছিল না। তাই তার জন্য একটি খোলা ট্রাকের ব্যবস্থা করা হয়। এ ট্রাকে করে তিনি হাসপাতালে যান।
৮. হাসপাতালে তার জন্য একটি বিশেষ কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। তাকে যে কক্ষে রাখা হয়েছে, তা আগে অ্যাকাউন্ট অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে চিকিৎসকরা তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর তার চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানা যায়।