শিরোনাম :
Logo রাবিতে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল Logo পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ছাড়াই হয়েছে, দাবি জয়শঙ্করের Logo হাসিনার নির্বাচনি হলফনামায় গরমিল: ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি Logo ১৫০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নি‌য়ে ঢাকায় আসছেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী Logo বাঁচতে চায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ধর্মীয় শিক্ষক আঃ ছাত্তার Logo নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা, কোন গ্রেডে কত বাড়ছে? Logo এবার মশার শরীরে ম্যালেরিয়ার ওষুধ! গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার Logo পঞ্চগড়ে ভারতীয় পুশ-ইন, নারী-শিশুসহ ২১ বাংলাদেশিকে সীমান্তে ফেরত Logo লিচু কখন প্রাণনাশের কারণ হতে পারে? Logo আল-মুস্তফা আন্তর্জাতিক ইউনিভার্সিটির অফিস পরিদর্শনে ইবির ভিসি

সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করতে হবে

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৯৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহর সৃষ্টি। সব সৃষ্টির প্রতি দয়া করতে হবে। বিশেষ করে সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জরুরি। আল্লাহতায়ালা সেই বান্দাকে বেশি ভালোবাসেন যেই বান্দা সৃষ্ট জীবের প্রতি বেশি দয়াবান।

প্রিয় নবী (সা.) সব সময় দয়া ও মেহেরবানির প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ মেহেরবান। তিনি মেহেরবানিকে পছন্দ করেন। মেহেরবানির জন্য তিনি যা দান করেন কঠোরতার জন্য তা দান করেন না। মেহেরবানি ব্যতীত অন্য কিছুতেই তা দান করেন না। মুসলিম শরিফ। অপর হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি কি তোমাদের ওই ব্যক্তির সংবাদ দেব না যার ওপর দোজখের আগুন হারাম এবং যে ব্যক্তি দোজখের জন্য হারাম।

সে হলো ওই ব্যক্তি যে ভদ্র, মিশুক এবং বিনম্র। আবু দাউদ, তিরমিজি। আরও এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, অনুগ্রহকারীদের প্রতি পরম করুণাময় অনুগ্রহ করে থাকেন। তোমরা দুনিয়াবাসীর ওপর অনুগ্রহ কর, এতে আসমানে অবস্থানকারী তোমাদের ওপর অনুগ্রহ করবেন। আবু দাউদ, তিরমিজি। সৃষ্ট জীবের ওপর দয়া করার কারণে আল্লাহতায়ালা কঠিন গুনাহও মাপ করে দেন। এ বিষয়ে হাদিসে একটি ঘটনা এসেছে, হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে চলছিল। তার খুব পিপাসা পেল। তারপর একটি কুয়া পেল।

সে তাতে নেমে পানি পান করল। কুয়া থেকে উঠে দেখল, একটি কুকুর পিপাসায় বার বার জিভ বের করে কাদামাটি চাটছে। লোকটি মনে মনে বলল, পিপাসার কারণে আমার যে অবস্থা হয়েছিল কুকুরটিরও সেই অবস্থা হয়েছে। তারপর সে আবার কুয়ায় নেমে নিজের পা মুজায় পানি ভরে উপরে নিয়ে এলো এবং কুকুরটিকে পানি পান করাল।

এই কারণে আল্লাহতায়ালা তাকে প্রতিদান দিলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন। সাহাবিরা আরজ করলেন, হে আল্লাহর রসুল, চতুষ্পদ প্রাণীর কারণেও কি আমাদের জন্য সওয়াব রয়েছে? রসুল (সা.) বললেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণীর মধ্যেই সওয়াব রয়েছে। বোখারি ও মুসলিম।  প্রিয় পাঠক, সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করা যেমন সওয়াবের কাজ তেমনি সৃষ্ট জীবকে কষ্ট দেওয়া গুনাহের কারণ।

হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, এক মহিলা একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গেছে। কেননা সে তাকে বেঁধে রেখেছে আর কোনো খাবার দেয়নি। জমিনে পোকা-মাকড় খাওয়ার জন্য তাকে সে ছেড়ে দেয়নি। বোখারি ও মুসলিম।  আমরা যদি কারও উপকার করতে নাও পারি তাহলে যেন সবার সঙ্গে ভালো কথা বলি।

কারণ, ভালো কথা বলার বিনিময়েও রয়েছে সওয়াব। এ বিষয়ে হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী (সা.) বলেছেন, উত্তম কথাও সদকা। বোখারি। অর্থাৎ সদকা করলে যেই সওয়াব, উত্তম কথা বললেও সেই সওয়াব। মহান আল্লাহ যেন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন। আমিন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল

সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করতে হবে

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহর সৃষ্টি। সব সৃষ্টির প্রতি দয়া করতে হবে। বিশেষ করে সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জরুরি। আল্লাহতায়ালা সেই বান্দাকে বেশি ভালোবাসেন যেই বান্দা সৃষ্ট জীবের প্রতি বেশি দয়াবান।

প্রিয় নবী (সা.) সব সময় দয়া ও মেহেরবানির প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ মেহেরবান। তিনি মেহেরবানিকে পছন্দ করেন। মেহেরবানির জন্য তিনি যা দান করেন কঠোরতার জন্য তা দান করেন না। মেহেরবানি ব্যতীত অন্য কিছুতেই তা দান করেন না। মুসলিম শরিফ। অপর হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি কি তোমাদের ওই ব্যক্তির সংবাদ দেব না যার ওপর দোজখের আগুন হারাম এবং যে ব্যক্তি দোজখের জন্য হারাম।

সে হলো ওই ব্যক্তি যে ভদ্র, মিশুক এবং বিনম্র। আবু দাউদ, তিরমিজি। আরও এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, অনুগ্রহকারীদের প্রতি পরম করুণাময় অনুগ্রহ করে থাকেন। তোমরা দুনিয়াবাসীর ওপর অনুগ্রহ কর, এতে আসমানে অবস্থানকারী তোমাদের ওপর অনুগ্রহ করবেন। আবু দাউদ, তিরমিজি। সৃষ্ট জীবের ওপর দয়া করার কারণে আল্লাহতায়ালা কঠিন গুনাহও মাপ করে দেন। এ বিষয়ে হাদিসে একটি ঘটনা এসেছে, হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে চলছিল। তার খুব পিপাসা পেল। তারপর একটি কুয়া পেল।

সে তাতে নেমে পানি পান করল। কুয়া থেকে উঠে দেখল, একটি কুকুর পিপাসায় বার বার জিভ বের করে কাদামাটি চাটছে। লোকটি মনে মনে বলল, পিপাসার কারণে আমার যে অবস্থা হয়েছিল কুকুরটিরও সেই অবস্থা হয়েছে। তারপর সে আবার কুয়ায় নেমে নিজের পা মুজায় পানি ভরে উপরে নিয়ে এলো এবং কুকুরটিকে পানি পান করাল।

এই কারণে আল্লাহতায়ালা তাকে প্রতিদান দিলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন। সাহাবিরা আরজ করলেন, হে আল্লাহর রসুল, চতুষ্পদ প্রাণীর কারণেও কি আমাদের জন্য সওয়াব রয়েছে? রসুল (সা.) বললেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক জীবন্ত প্রাণীর মধ্যেই সওয়াব রয়েছে। বোখারি ও মুসলিম।  প্রিয় পাঠক, সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করা যেমন সওয়াবের কাজ তেমনি সৃষ্ট জীবকে কষ্ট দেওয়া গুনাহের কারণ।

হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, এক মহিলা একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গেছে। কেননা সে তাকে বেঁধে রেখেছে আর কোনো খাবার দেয়নি। জমিনে পোকা-মাকড় খাওয়ার জন্য তাকে সে ছেড়ে দেয়নি। বোখারি ও মুসলিম।  আমরা যদি কারও উপকার করতে নাও পারি তাহলে যেন সবার সঙ্গে ভালো কথা বলি।

কারণ, ভালো কথা বলার বিনিময়েও রয়েছে সওয়াব। এ বিষয়ে হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী (সা.) বলেছেন, উত্তম কথাও সদকা। বোখারি। অর্থাৎ সদকা করলে যেই সওয়াব, উত্তম কথা বললেও সেই সওয়াব। মহান আল্লাহ যেন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন। আমিন।