যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত বিরূপ পরিণতি এড়াতে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি ও কৃষি খাতের একাধিক প্রতিষ্ঠান দেশটির পণ্যের আমদানি বাড়াতে চুক্তি করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান অর্থনৈতিক মন্ত্রী।
সাউথইস্ট এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কৃষিপণ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য সামগ্রী আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহেই তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও গম আমদানির জন্য ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সম্পন্ন করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যদি ইন্দোনেশিয়া ১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি না করে, তাহলে তারা ১০ শতাংশের মূল শুল্কের ওপর অতিরিক্ত ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।
বুধবার এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক মন্ত্রী আইরলাঙ্গা হার্তার্তো জানান, তিনি বাণিজ্য আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন সফর করেছেন এবং সে সময় রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা পার্তামিনা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও জ্বালানি আমদানির অঙ্গীকার করে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
তবে এসব চুক্তির বিস্তারিত মূল্য বা শর্ত তিনি প্রকাশ করেননি। যদিও গত সপ্তাহে তিনি জানিয়েছিলেন, ইন্দোনেশীয় ব্যবসায়ীরা মোট ৩৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানির প্রতিশ্রুতি দিতে যাচ্ছে।
কৃষি খাতে সক্রিয় ‘সোরিনি আগ্রো এশিয়া করপোরিন্ডো’, যা ইন্দোনেশিয়ার কর্ন মিল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, এবং এফকেএস গ্রুপও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
ওয়াশিংটনে ইন্দোনেশীয় দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবারের একাধিক বৈঠকে এসব বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পন্ন হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈঠকগুলো বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক চুক্তির দ্বার উন্মোচন করেছে, যা নতুন সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খাদ্য পণ্য উৎপাদনকারী করপোরেশন কারগিল এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, তাদের সঙ্গে কর্ন (ভুট্টা) আমদানির জন্য একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়ায় ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৪ শতাংশ বেশি।