নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ:বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ কেটে ফেলা হলেও তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণ পাননি স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। এতে তারা চরম হতাশা ও ক্ষোভে রয়েছেন।
জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (চএঈই) লিমিটেড এবং কাজটি বাস্তবায়ন করছে ভারতের এম/এস কঊঈ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ খঃফ. প্রতিষ্ঠান। এই লাইনের জন্য যেসব জমি ও গাছ ডধু খবধাব বা অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা সরকারি রেট অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তারা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। বরং নানা অজুহাত ও তালবাহানা করা হচ্ছে। প্রায় কয়েক লাখ টাকার গাছ কেটে নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা হয়নি।
ভুক্তভোগী শাহিন আলম জানান, আমার ৩৪টি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার বিনিময়ে এক টাকাও পাইনি। আকরামের কাছে ৩৪ টাকা, আবার আরেক জায়গায় ২০ টাকা বলা হচ্ছে – এগুলো হাস্যকর। ফোন দিলেও এখন আর কারও সাড়া মেলে না।
এদিকে, স্থানীয় আরো অনেকের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা জানান, একাধিক নম্বরে ফোন দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় “ডধু খবধাব ঈড়সঢ়বহংধঃরড়হ ইরষষ” নামের বিলের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করার কথা। তবে যথাসময়ে এই বিল বাস্তবায়ন না হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে এবং প্রকৃত ক্ষতিপূরণ তাদের হাতে পৌঁছে দেয়।