অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি ভারতের সিরিজ বাঁচানোর। ওল্ড ট্রাফোর্ডে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করছে ভারত। ক্রিজে এসে আধঘন্টার মধ্যেই দু’টি রেকর্ড নিজের নামে করে নিয়েছেন শুবমান গিল। এর মধ্যে একটি গ্যারি সোবার্সের ৫৯ বছর পুরনো ও আরেকটি সুনীল গাভাস্কার নিজের কাছে রেখেছেন ৪৬ বছর। এ দুই কীর্তির পর ভারতীয় অধিনায়কের সামনে হাতছানি দিচ্ছে আরও কয়েকটি রেকর্ড।
ইংল্যান্ড সফরে চার ম্যাচে ৭২২ রান নিয়ে ওভাল টেস্ট শুরু করেন ২৫ বছর বয়সী গিল। অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে যৌথভাবে চারে ছিলেন তিনি। ১৯৬৬তে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি সোবার্স ইংল্যান্ড সফরে ৫ টেস্টের ৮ ইনিংসে করেন ৭২২ রান।
ক্রিজে নেমে ক্রিস ওকসের বলে জোড়া রান নিয়ে সেটি এককভাবে নিজের করে নেন এ ডানহাতি ব্যাটার। এর কিছুক্ষণ পর ছাড়ান স্বদেশি কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারকে।
১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ টেস্টের ৯ ইনিংসে ৭৩২ রান করেন গাভাস্কার। এতদিন ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে এটিই ছিল সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। জেমি ওভারটনকে বাউন্ডারি মেরে ব্যক্তিগত ১১ রানের সঙ্গে গাভাস্কারকে দুইয়ে ঠেলে দেন গিল।
এ দু’টি রেকর্ডের পর আরও কিছু কীর্তি অপেক্ষা করছে ভারতীয় ব্যাটারের জন্য। ওভাল টেস্টে নিজের খাতায় ৫৩ রান যোগ করতে পারলেই নিজ দেশের হয়ে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক বনে যাবেন গিল। বর্তমানে রেকর্ডটির মালিক গাভাস্কার। ১৯৭১-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮ ইনিংসে ৭৭৪ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।
আরেকটু এগিয়ে গিল যদি ৮৯ রান করতে পারেন, তাহলে তিনি হবেন অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ডের মালিক। ১৯৩৬-৩৭ অ্যাশেজে ৯ ইনিংসে ৮১০ রান করে এখনও এই কীর্তি ধরে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটার স্যার ডন ব্র্যাডম্যান।
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ইতিমধ্যে চারটি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে শুবমান গিলের। এক সিরিজে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানদের তালিকায় ব্র্যাডম্যান ও গাভাস্কারের সঙ্গে যৌথভাবে দুইয়ে আছেন এ ভারতীয় তারকা। ওভালে আরেকটি সেঞ্চুরি উপহার দিতে পারলে এক সিরিজে ৫ সেঞ্চুরি করা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে নিজের নাম লেখবেন গিল।
১৯৫৫তে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি করে কীর্তিটির একমাত্র মালিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইড ওয়ালকট।