কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসুতি বিভাগের মিডওয়াইফ টিমের নিরলস প্রচেষ্টা ও নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থভাবে নবজাতক শিশুর জন্মদানে চিকিৎসা সেবায় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে শুক্রবার একদিনে (২৪ ঘন্টা) হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে সফল চিকিৎসা সেবায় আবারও নরমাল ডেলিভারিতে ১২ নবজাতক শিশু জন্ম হয়েছে।
শুক্রবার ভোররাত থেকে শনিবার ভোররাত সাড়ে ছয়টার মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রসুতি রোগীরা বিনাখরচে নবজাতক গুলো জন্ম দিয়েছেন।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের টানা বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসুতি বিভাগের কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীরা (ডেলিভারি টিম) প্রসুতি নারী রোগীদের মাঝে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য কর্মীদের নিবিড় পরিচর্যা ও তদারকিতে শুক্রবার ভোররাত থেকে শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ছয়টার মধ্যে ২৪ ঘন্টায় ১২ জন প্রসুতি নারী স্বাভাবিকভাবে (নরমাল) ডেলিভারিতে জন্ম দিয়েছেন ১২ নবজাতক শিশু।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসুতি বিভাগে নরমাল ডেলিভারি টিমের সদস্যরা প্রসুতি রোগীদের মাঝে সুচিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলছেন। হাসপাতালে এই নরমাল ডেলিভারি কার্যক্রমটি সুচারুভাবে পরিচালিত হচ্ছে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মোহাম্মদ জায়নুল আবেদীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং হাসপাতালের দক্ষ গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা: শামীমা সোলতানা ও অভিজ্ঞ মিডওয়াইফ নার্সদের নিবেদিত প্রচেষ্টায়।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মোহাম্মদ জায়নুল আবেদীন বলেন, সরকারি হাসপাতালে প্রসুতি সেবা নিতে আসা বেশিরভাগ রোগী গরীব ও হতদরিদ্র। বিপুল টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য অনেকের নেই।
এসব বিষয় বিবেচনা করে সেবা নিতে প্রসুতি রোগীর মাঝে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রসুতি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশেষজ্ঞ প্রসুতি চিকিৎসক ও মিডওয়াইফ নার্সদের সমন্বয়ে ডেলিভারি টিমের সদস্যরা নানা প্রতিকূল মুহূর্তেও তাদের পেশাদারিত্ব সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেবাদানের ক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতাে ঘাটতি নেই।
একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রসুতি রোগীকে গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং প্রসবোত্তর যতেœ সহায়তা করেন। তারা সাধারণত প্রসবপূর্ব পরীক্ষা, প্রসবকালীন যতœ এবং নবজাতকের যতেœর মতো পরিষেবা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার ভোররাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে প্রসুতি বিভাগে ২৪ ঘন্টায় নরমাল ডেলিভারিতে জন্ম নেওয়া নবজাতক ও তাদের প্রসুতি মায়েরা সুস্থ আছেন। গতকাল শাররীক সুস্থতা অনুভব করায় সাতজন প্রসুতি রোগীকে রিলিজ করা হয়েছে। তাঁরাও হাসিমুখে নবজাতক সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে অন্য প্রসুতি মায়েরা হাসপাতালে