শিরোনাম :
Logo সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Logo ‘তোমাদের জন্য জাহান্নাম তৈরি করব’: ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি Logo আশাশুনি উপজেলায় ঈদের ছুটিতেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল Logo মিরসরাইয়ে গর্তের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু Logo কচুয়ায় সাচার ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী ও আলোচনা সভা Logo রাশেদের মৃত্যুতে ইবি শাখা ছাত্রদলের শোক Logo চাঁদপুরে করোনা পরীক্ষার ল্যাব নেই, উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের পাঠানো হচ্ছে কুমিল্লায় Logo বাংলানিউজের নিউজরুম এডিটর তানজিদা পাপড়ি মারা গেছেন Logo দুর্নীতির মামলায় যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার কারাগারে Logo শেখ মুজিব গণমাধ্যমে নজিরবিহীন নিপীড়ন চালিয়েছেন: কাদের গনি চৌধুরী

দুর্নীতির মামলায় যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার কারাগারে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল সোমবার (১৬ জুন) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম।

এ মামলার অপর দুই আসামি যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত) আব্দুর রউফ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন জামিনে রয়েছেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন। মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।

একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও কাউকে উত্তীর্ণ করা হয়নি। বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত কর্মকর্তার পদে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করেন এবং বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত) পদে এবং ২০২১ সালে উপপরিচালক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।

অবৈধ নিয়োগের ফলে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির মামলায় যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার কারাগারে

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল সোমবার (১৬ জুন) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম।

এ মামলার অপর দুই আসামি যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত) আব্দুর রউফ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন জামিনে রয়েছেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন। মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।

একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও কাউকে উত্তীর্ণ করা হয়নি। বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত কর্মকর্তার পদে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করেন এবং বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত) পদে এবং ২০২১ সালে উপপরিচালক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।

অবৈধ নিয়োগের ফলে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।