রাবি শিক্ষার্থীদের ভাবনায় পবিত্র ঈদুল-আজহা

ঈদুল-আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব, যা কেবল আনন্দ-উৎসবের দিন নয়, বরং ত্যাগ, আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের এক গভীর প্রতীক। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের ঘটনা, যেখানে তিনি আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় পুত্রকে কোরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। ঈদ-উল-আজহার প্রকৃত বার্তা হলো-আল্লাহর প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, উৎসর্গ এবং মানবিক মূল্যবোধকে জীবনে ধারণ করা। সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ এক হয়ে এই উৎসব উদযাপন করে, যা সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার আবহ তৈরি করে। ত্যাগ, আত্মোৎসর্গ ও ইদুল আজহার প্রকৃত বার্তা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরা হলো।

‘কেবল পশু নয়, কোরবানি হোক সংকীর্ণতা-অহংকারের’ ঈদ মানে শুধু আনন্দ নয়, ঈদ মানে দায়িত্ব। ঈদ মানে সবার মুখে হাসি ফোটানো। ঈদুল আজহা আমাদের শেখায়—আত্মত্যাগ মানেই শুধু পশু কোরবানি নয়, বরং নিজের ভেতরের অহংকার, হিংসা ও সংকীর্ণতা ত্যাগ করাও এক ধরনের কোরবানি। ঈদের দিনে আমরা যদি শুধু নিয়ম মানার ভেতর সীমাবদ্ধ না থেকে ঈদের মূল চেতনা—সহানুভূতি, সমতা ও শুদ্ধতা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলেই কোরবানির প্রকৃত অর্থ পূর্ণ হবে।

একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি চাই, আমাদের প্রজন্ম হোক দায়িত্বশীল, সহানুভূতিশীল এবং ন্যায়নিষ্ঠ। আসুন, আমরা শুধু পশু নয়, কোরবানি দিই আমাদের গাফিলতা, অবহেলা ও সংকীর্ণ চিন্তার—যাতে আমাদের সমাজ আরও মানবিক, আরও আলোকিত হয়ে ওঠে।
“সানজিদা ইয়াছমিম মিম, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ”

‘ত্যাগের আলোয় উদ্ভাসিত হোক ঈদের আনন্দ’ ঈদ মানেই শুধু আনন্দ, নতুন পোশাক কিংবা উৎসবের রঙিন উচ্ছ্বাস নয়। ঈদুল আজহার অন্তর্নিহিত শিক্ষা আমাদের আহ্বান জানায় এক গভীর মানবিক উপলব্ধির। ত্যাগ, সহমর্মিতা ও আত্মিক পরিশুদ্ধির পথে।কোরবানির আসল তাৎপর্য কেবল পশু জবাইয়ে নয়; বরং এর মধ্য দিয়ে আমরা আত্মত্যাগের, অহংকার পরিত্যাগের এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে নিবেদনের অনুশীলন করি। এ এক আত্মশুদ্ধির মহোৎসব। যেখানে হৃদয় হয় বিনম্র, মন হয় উদার।এই দিনে আমাদের কর্তব্য, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজের দরিদ্র, অসহায় ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

ঈদের প্রকৃত আনন্দ তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তা ধনী-গরিব, সুখী-অসুখী সবার মাঝে সমভাবে ছড়িয়ে পড়ে।এই ঈদে যেন কেউ না থাকে উপেক্ষিত, কেউ না থাকে খালি হাতে। ভালোবাসা আর সহানুভূতির সেতুবন্ধনে গড়ে উঠুক এক আলোকোজ্জ্বল মানবিক সমাজ। প্রত্যেক ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক ত্যাগের আলো, ভরে উঠুক ভালোবাসার সুবাসে। “আস-আদ আহমেদ আদীব, শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ”

‘ঈদ মানে অনুভব, ঈদ মানে ভালোবাসা ও একতার উৎসব’ ঈদ মানে শুধু নতুন জামা-কাপড় বা ভালো খাবার না, ঈদ মানে হলো নিজের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া। কোরবানির ঈদ আমাদের কাছে আরও একটু ভিন্নভাবে আসে—এই ঈদ ত্যাগের শিক্ষা দেয়, অন্যের কষ্টে নিজেকে কোরবানি করার শিক্ষা দেয়। সারাবছর ক্লাস, পরীক্ষা আর ব্যস্ততার ভিড়ে পরিবারের সঙ্গে ঠিকমতো সময় কাটানো হয় না। কিন্তু ঈদের ছুটিতে যখন সবার সঙ্গে দেখা হয়, একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া হয়, গল্প আর হাসি-মজায় সময় কাটে, তখন মনে হয় জীবনের আসল আনন্দ এখানেই।

ছোটবেলার ঈদের স্মৃতি, ঈদের সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা , নামাজে যাওয়া, পশু কোরবানি করা , আর মায়ের হাতের রান্না—এসব সবকিছু মিলেই ঈদ আমাদের কাছে অনেক বড় একটা অনুভব। ঈদ শুধু উৎসব না, এটা পারস্পরিক সৌহার্দ্য গড়ার, ত্যাগ, ভালোবাসা ও একতার একটি বিশেষ সময়।”রাফায়েল আহমেদ মারুফ, শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ”

‘ত্যাগের শিক্ষা, পরিবারের উষ্ণতা – আমার ঈদ’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ঈদুল আজহা আমার কাছে কেবল ছুটির দিন নয়, বরং আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার এক গভীর বার্তা। ক্যাম্পাসের ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে পরিবারকে সময় দেওয়ার এই সুযোগ অন্যরকম শান্তি দেয়। ঈদের মূল শিক্ষা,ত্যাগ, অনুপ্রেরণা দেয় নিজের ভেতরের ক্ষুদ্রতা ঝেড়ে ফেলে বৃহৎ কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে। বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় আর গ্রামে গিয়ে পরিবারের সাথে কোরবানির আনন্দ ভাগ করে নেওয়াই ঈদের পূর্ণতা এনে দেয়।”হুমাইরা আক্তার, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ”

‘ঈদ মানে শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, দায়িত্ব, ভালোবাসা ও উপলব্ধির এক উৎসব’ সারা বছরের ক্লান্তি আর ছুটে চলার মাঝে ঈদ যেন এক নিঃশ্বাসের বিরতি। এই সময়টাতে পরিবারের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত একেকটা স্মৃতি হয়ে গেঁথে যায় মনে। বাড়ির আঙিনায় ছোট ভাইবোনদের হাসি, রান্নাঘর থেকে ভেসে আসা মায়ের রান্নার ঘ্রাণ—এসবই ঈদের আসল আবহ তৈরি করে। কোরবানির ঈদ আমাদের কাছে শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং জীবনের গভীর এক শিক্ষা। ঈদের সকালে কাঁধে নামাজের জায়নামাজ নিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে নামাজে যাওয়া, কোরবানির দৃশ্য দেখে মনে জাগা নানান প্রশ্ন—এই সব অনুভব আজও নতুন মনে হয়। বড় হয়ে বুঝেছি, ঈদ শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্ব আর অনুভবেরও সময়। একসাথে থাকার, ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার, আর একে অপরকে একটু বেশি করে বুঝে নেওয়ার এক অসাধারণ উপলক্ষ এই ঈদ।
নাজমুস সাকিব, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

ট্যাগস :

রাবি শিক্ষার্থীদের ভাবনায় পবিত্র ঈদুল-আজহা

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৪৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

ঈদুল-আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব, যা কেবল আনন্দ-উৎসবের দিন নয়, বরং ত্যাগ, আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের এক গভীর প্রতীক। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের ঘটনা, যেখানে তিনি আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় পুত্রকে কোরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। ঈদ-উল-আজহার প্রকৃত বার্তা হলো-আল্লাহর প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, উৎসর্গ এবং মানবিক মূল্যবোধকে জীবনে ধারণ করা। সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ এক হয়ে এই উৎসব উদযাপন করে, যা সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার আবহ তৈরি করে। ত্যাগ, আত্মোৎসর্গ ও ইদুল আজহার প্রকৃত বার্তা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরা হলো।

‘কেবল পশু নয়, কোরবানি হোক সংকীর্ণতা-অহংকারের’ ঈদ মানে শুধু আনন্দ নয়, ঈদ মানে দায়িত্ব। ঈদ মানে সবার মুখে হাসি ফোটানো। ঈদুল আজহা আমাদের শেখায়—আত্মত্যাগ মানেই শুধু পশু কোরবানি নয়, বরং নিজের ভেতরের অহংকার, হিংসা ও সংকীর্ণতা ত্যাগ করাও এক ধরনের কোরবানি। ঈদের দিনে আমরা যদি শুধু নিয়ম মানার ভেতর সীমাবদ্ধ না থেকে ঈদের মূল চেতনা—সহানুভূতি, সমতা ও শুদ্ধতা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলেই কোরবানির প্রকৃত অর্থ পূর্ণ হবে।

একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি চাই, আমাদের প্রজন্ম হোক দায়িত্বশীল, সহানুভূতিশীল এবং ন্যায়নিষ্ঠ। আসুন, আমরা শুধু পশু নয়, কোরবানি দিই আমাদের গাফিলতা, অবহেলা ও সংকীর্ণ চিন্তার—যাতে আমাদের সমাজ আরও মানবিক, আরও আলোকিত হয়ে ওঠে।
“সানজিদা ইয়াছমিম মিম, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ”

‘ত্যাগের আলোয় উদ্ভাসিত হোক ঈদের আনন্দ’ ঈদ মানেই শুধু আনন্দ, নতুন পোশাক কিংবা উৎসবের রঙিন উচ্ছ্বাস নয়। ঈদুল আজহার অন্তর্নিহিত শিক্ষা আমাদের আহ্বান জানায় এক গভীর মানবিক উপলব্ধির। ত্যাগ, সহমর্মিতা ও আত্মিক পরিশুদ্ধির পথে।কোরবানির আসল তাৎপর্য কেবল পশু জবাইয়ে নয়; বরং এর মধ্য দিয়ে আমরা আত্মত্যাগের, অহংকার পরিত্যাগের এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে নিবেদনের অনুশীলন করি। এ এক আত্মশুদ্ধির মহোৎসব। যেখানে হৃদয় হয় বিনম্র, মন হয় উদার।এই দিনে আমাদের কর্তব্য, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজের দরিদ্র, অসহায় ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

ঈদের প্রকৃত আনন্দ তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তা ধনী-গরিব, সুখী-অসুখী সবার মাঝে সমভাবে ছড়িয়ে পড়ে।এই ঈদে যেন কেউ না থাকে উপেক্ষিত, কেউ না থাকে খালি হাতে। ভালোবাসা আর সহানুভূতির সেতুবন্ধনে গড়ে উঠুক এক আলোকোজ্জ্বল মানবিক সমাজ। প্রত্যেক ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক ত্যাগের আলো, ভরে উঠুক ভালোবাসার সুবাসে। “আস-আদ আহমেদ আদীব, শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ”

‘ঈদ মানে অনুভব, ঈদ মানে ভালোবাসা ও একতার উৎসব’ ঈদ মানে শুধু নতুন জামা-কাপড় বা ভালো খাবার না, ঈদ মানে হলো নিজের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া। কোরবানির ঈদ আমাদের কাছে আরও একটু ভিন্নভাবে আসে—এই ঈদ ত্যাগের শিক্ষা দেয়, অন্যের কষ্টে নিজেকে কোরবানি করার শিক্ষা দেয়। সারাবছর ক্লাস, পরীক্ষা আর ব্যস্ততার ভিড়ে পরিবারের সঙ্গে ঠিকমতো সময় কাটানো হয় না। কিন্তু ঈদের ছুটিতে যখন সবার সঙ্গে দেখা হয়, একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া হয়, গল্প আর হাসি-মজায় সময় কাটে, তখন মনে হয় জীবনের আসল আনন্দ এখানেই।

ছোটবেলার ঈদের স্মৃতি, ঈদের সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা , নামাজে যাওয়া, পশু কোরবানি করা , আর মায়ের হাতের রান্না—এসব সবকিছু মিলেই ঈদ আমাদের কাছে অনেক বড় একটা অনুভব। ঈদ শুধু উৎসব না, এটা পারস্পরিক সৌহার্দ্য গড়ার, ত্যাগ, ভালোবাসা ও একতার একটি বিশেষ সময়।”রাফায়েল আহমেদ মারুফ, শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ”

‘ত্যাগের শিক্ষা, পরিবারের উষ্ণতা – আমার ঈদ’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ঈদুল আজহা আমার কাছে কেবল ছুটির দিন নয়, বরং আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার এক গভীর বার্তা। ক্যাম্পাসের ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে পরিবারকে সময় দেওয়ার এই সুযোগ অন্যরকম শান্তি দেয়। ঈদের মূল শিক্ষা,ত্যাগ, অনুপ্রেরণা দেয় নিজের ভেতরের ক্ষুদ্রতা ঝেড়ে ফেলে বৃহৎ কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে। বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় আর গ্রামে গিয়ে পরিবারের সাথে কোরবানির আনন্দ ভাগ করে নেওয়াই ঈদের পূর্ণতা এনে দেয়।”হুমাইরা আক্তার, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ”

‘ঈদ মানে শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, দায়িত্ব, ভালোবাসা ও উপলব্ধির এক উৎসব’ সারা বছরের ক্লান্তি আর ছুটে চলার মাঝে ঈদ যেন এক নিঃশ্বাসের বিরতি। এই সময়টাতে পরিবারের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত একেকটা স্মৃতি হয়ে গেঁথে যায় মনে। বাড়ির আঙিনায় ছোট ভাইবোনদের হাসি, রান্নাঘর থেকে ভেসে আসা মায়ের রান্নার ঘ্রাণ—এসবই ঈদের আসল আবহ তৈরি করে। কোরবানির ঈদ আমাদের কাছে শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং জীবনের গভীর এক শিক্ষা। ঈদের সকালে কাঁধে নামাজের জায়নামাজ নিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে নামাজে যাওয়া, কোরবানির দৃশ্য দেখে মনে জাগা নানান প্রশ্ন—এই সব অনুভব আজও নতুন মনে হয়। বড় হয়ে বুঝেছি, ঈদ শুধু আনন্দের নয়, দায়িত্ব আর অনুভবেরও সময়। একসাথে থাকার, ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার, আর একে অপরকে একটু বেশি করে বুঝে নেওয়ার এক অসাধারণ উপলক্ষ এই ঈদ।
নাজমুস সাকিব, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ