বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেচার ইনডেক্স –তাদের এর সর্বশেষ তালিকায় করেছে। গবেষণার মান ও সংখ্যার ভিত্তিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দশটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
বৈশ্বিক গবেষণার মানদণ্ডে উচ্চ মানের গবেষণা প্রকাশের ভিত্তিতে প্রণীত এই সূচকে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মতো অভিজাত প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে স্থান করে নিয়েছে বেরোবি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শুধু একটি স্বীকৃতি নয়, বরং দেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য এক অনন্য গর্বের বিষয়।
নেচার ইনডেক্সে ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কালের গবেষণা তথ্যের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করে। গবেষণায় অবদানের মান ও আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের পরিমাণ বিবেচনায় এনে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে বেরোবির গবেষণা কাজে নিয়োজিত শিক্ষকদের মধ্যে প্রফেসর ড. মো ফেরদৌস রহমান বলেন, আনন্দের বিষয় হল পাবলিক এবং প্রাইভেট মিলে সারা দেশে একশ’র অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন। এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজে মনোনিবেশের জন্য আরো বেশি উদ্ভূত করবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী বলেন, “এই অর্জন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত পরিশ্রম ও একাগ্রতার ফল। আমরা বিশ্বাস করি, গবেষণার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব — এবং এই স্বীকৃতি আমাদের সেই পথেই এগিয়ে নিচ্ছে। বিগত সময়গুলোতে যেটি কেউ পারেনি এখন সময় সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যেটি নিঃসন্দেহে অনেক ভালো লাগার একটি বিষয়। আশা করি ,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব দরবারে আরও সুন্দর রূপে তুলে ধরবে। সেই সাথে নিজেদের যোগ্যতার জানান দেবে। এই লক্ষ্যে আমি ইতিপূর্বে ফ্রি অফ কষ্টে আইএল টেস্ট, ইংলিশ কোর্স, এবং গবেষণার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও এই অর্জনে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তাদের মতে, এই স্বীকৃতি নতুন প্রজন্মকে গবেষণামুখী ও উদ্ভাবনী ভাবনার দিকে উৎসাহিত করবে।