খুবি শিক্ষার্থী আবিদের ঝুলন্ত মরহেদ উদ্ধার

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ আবিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রোডের শাহ শিরিন সড়কের একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়

তৌকির আহমেদ আবিদ (২৩) সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

সহপাঠীরা জানান, দুপুরে দরজা বন্ধ পেয়ে ভেঙে ভেতরে গিয়ে তাকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হরিণটানা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। শিক্ষার্থীর এমন করুণ মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”

হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে এই ঘটনায় সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবি শিক্ষার্থী আবিদের ঝুলন্ত মরহেদ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:১৫:৪০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ আবিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রোডের শাহ শিরিন সড়কের একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়

তৌকির আহমেদ আবিদ (২৩) সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

সহপাঠীরা জানান, দুপুরে দরজা বন্ধ পেয়ে ভেঙে ভেতরে গিয়ে তাকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হরিণটানা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। শিক্ষার্থীর এমন করুণ মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।”

হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে এই ঘটনায় সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।