শিরোনাম :
Logo শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo হিটের প্রকল্প মূল্যায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান Logo পলাশবাড়ী কালীবাড়ী বাজারে অবৈধ দখল উচ্ছেদ Logo পলাশবাড়ীতে ইউপি সদস্যের  হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা  Logo ঝালকাঠির নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে ডিজিএম Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র”

সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:০৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত-তরকারি। সেই তরকারিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহৃত মসলার মধ্যে অন্যতম জিরা বাটা বা জিরার গুঁড়া।বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ মসলাটি প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

সেই জিরা এবারই প্রথম চাষ শুরু করেছেন কামারখন্দের জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মাহবুবুল ইসলাম পলাশ। নিজ গ্রাম উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট এলাকায় ১০ শতাংশ ফসলি জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ রোপণ করেছেন তিনি।

কৃষক পলাশ বলেন, বগুড়ার মসলা গবেষণা থেকে ২ হাজার টাকায় ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ সংগ্রহ করে আমি আমার ১০ শতাংশ জমিতে বপন করেছি। ঘরে তুলতে প্রায় ১১০ দিনের মতো সময় লাগে। আশা করছি, ফলন ভালো হলে প্রায় ২০ কেজি জিরা হবে। প্রতি কেজি জিরার বীজ ৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মতো বিক্রি করা যাবে।

কামারখন্দের ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাটিবেলাই গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, আমি পলাশের জিরার বীজ বপন দেখে এসেছি । তার সাথে আমার কথা হয়েছে । আগামি বছর নিজেই জিরা বপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষক আলীম।

অপর কৃষক আব্দুল খালেক জানান, “জিরা চাষের কথা আগে কোনো দিনই হুনিনাই। এবার হুনলাম এত থেকে নাব অয় আগে জানি নাই। সামনের বছর জিরা বুনমু।”

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মন বলেন, উপজেলার কৃষকদের জিরার চাষে আগ্রহী করতে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব যাতে কৃষকেরা জিরা চাষ করে লাভবান হয়। জিরার চাষের জন্য বালু-দোআঁশ মাটির উচ্চ স্থানে চাষ করলে ভালো হয় বলেও জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আহসান শহীদ সরকার আজ (রবিবার) জানান, আমাদের মশলা ফসল চাষের একটি প্রকল্প আছে। সেই প্রকল্পের আওতায় জিরা, দারুচিনি, বস্তায় আদা, হলুদ চাষ সম্প্রসারণে কাজ করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জে এখন পর্যন্ত জিরা চাষ হয় নাই। বগুড়ায় সফল হয়েছেন এক চাষি। সিরাজগঞ্জ থেকে আমরা গত কয়েকদিন আগে সেখানে ৩০ জন চাষিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সরেজমিনে তাদের জিরা চাষের পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে পলাশ জিরা চাষ শুরু করেছেন। জিরা খরা এলাকার ফসল। বৃষ্টি হলেই নষ্ট হয়ে যায়। শুকনো জায়গায় বেলে দোআঁশ মাটিতে জিরা ভালো হয়।

উল্লেখ্য, মাহবুবুল ইসলাম পলাশ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া বিরল সব বৃক্ষ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। তার বাগানে ৩৪০টিরও বেশি বিরল প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। তিনি জাতীয় কৃষি পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জে প্রথমবারের মতো জিরা চাষ

আপডেট সময় : ০১:৩৮:০৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত-তরকারি। সেই তরকারিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহৃত মসলার মধ্যে অন্যতম জিরা বাটা বা জিরার গুঁড়া।বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ মসলাটি প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

সেই জিরা এবারই প্রথম চাষ শুরু করেছেন কামারখন্দের জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক মাহবুবুল ইসলাম পলাশ। নিজ গ্রাম উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট এলাকায় ১০ শতাংশ ফসলি জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ রোপণ করেছেন তিনি।

কৃষক পলাশ বলেন, বগুড়ার মসলা গবেষণা থেকে ২ হাজার টাকায় ৪০০ গ্রাম জিরার বীজ সংগ্রহ করে আমি আমার ১০ শতাংশ জমিতে বপন করেছি। ঘরে তুলতে প্রায় ১১০ দিনের মতো সময় লাগে। আশা করছি, ফলন ভালো হলে প্রায় ২০ কেজি জিরা হবে। প্রতি কেজি জিরার বীজ ৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মতো বিক্রি করা যাবে।

কামারখন্দের ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাটিবেলাই গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, আমি পলাশের জিরার বীজ বপন দেখে এসেছি । তার সাথে আমার কথা হয়েছে । আগামি বছর নিজেই জিরা বপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষক আলীম।

অপর কৃষক আব্দুল খালেক জানান, “জিরা চাষের কথা আগে কোনো দিনই হুনিনাই। এবার হুনলাম এত থেকে নাব অয় আগে জানি নাই। সামনের বছর জিরা বুনমু।”

কামারখন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মন বলেন, উপজেলার কৃষকদের জিরার চাষে আগ্রহী করতে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব যাতে কৃষকেরা জিরা চাষ করে লাভবান হয়। জিরার চাষের জন্য বালু-দোআঁশ মাটির উচ্চ স্থানে চাষ করলে ভালো হয় বলেও জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আহসান শহীদ সরকার আজ (রবিবার) জানান, আমাদের মশলা ফসল চাষের একটি প্রকল্প আছে। সেই প্রকল্পের আওতায় জিরা, দারুচিনি, বস্তায় আদা, হলুদ চাষ সম্প্রসারণে কাজ করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জে এখন পর্যন্ত জিরা চাষ হয় নাই। বগুড়ায় সফল হয়েছেন এক চাষি। সিরাজগঞ্জ থেকে আমরা গত কয়েকদিন আগে সেখানে ৩০ জন চাষিকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সরেজমিনে তাদের জিরা চাষের পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে পলাশ জিরা চাষ শুরু করেছেন। জিরা খরা এলাকার ফসল। বৃষ্টি হলেই নষ্ট হয়ে যায়। শুকনো জায়গায় বেলে দোআঁশ মাটিতে জিরা ভালো হয়।

উল্লেখ্য, মাহবুবুল ইসলাম পলাশ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তিনি বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া বিরল সব বৃক্ষ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। তার বাগানে ৩৪০টিরও বেশি বিরল প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। তিনি জাতীয় কৃষি পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।