মহাকাশে গেলেই কমে যাবে বয়স!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাহলো মহাকাশে গেলে বয়স থমকে যাবে। চুলে পাক ধরবে না বা টাক পড়বে না। চামড়ায় ভাঁজও আসবে না।

জানা যায়, এক বছরের বেশি সময় মহাকাশে ছিলেন নভশ্চর স্কট কেলি। ৩৮২ দিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে যখন ফেরেন তখন স্কটকে অভ্যর্থনা জানাতে বাকিদের মতো হাজির ছিলেন ভাই মার্ক কেলি। দুই ভাইকে পাশাপাশি দেখে টনক নড়ে নাসার বিজ্ঞানীদের। স্কট-মার্ক যমজ ভাই। কিন্ত্ত মহাকাশে কাটিয়ে আসা স্কটকে মার্কের চেয়ে বয়সে বেশ খানিকটা কম লাগছিল। এমন তো হওয়ার কথা নয়। এক বছর আগেও দুই যমজের মধ্যে কোন ফারাক পেতেন না কেউ। খটকা লাগায় আর হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি বিজ্ঞানীরা। দু’জনের জিন নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। মানব শরীরে ক্রোমজোমের শেষ প্রান্তে একটি ছোট্ট প্যাকেটের মতো বস্ত্ত রয়েছে৷ যার মধ্যে কোষের ডিএনএ থাকে৷ ওই প্যাকেটের মতো বস্ত্তটির আয়তন দেখেই বয়সের ছাপ পড়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। যত সময় যায় ততই ওই প্যাকেট কুঁচকে ছোট হয়ে যায়। স্কটের ক্ষেত্রে দেখা যায় এর ঠিক উল্টো। অর্থাৎ মহাকাশ থেকে ফেরার পর স্কটের শরীরে ওই ডিএনএ বহনকারী প্যাকেটগুলির আয়তনে ছোট তো হয়নি বরং বেড়ে গিয়েছে!

তবে এই প্যাকেটের বাড়া-কমা অনেকটাই নির্ভর করে একজনের খাদ্যাভাস ও জীবনযাত্রার ওপর। যে যত পরিমিত ক্যালরির খাবার খায় ও ব্যায়াম করে তার শরীরে বার্ধক্য তত দেরিতে আসে। এই তথ্য মাথায় রেখে বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ মহাকাশে গিয়ে বয়স কমার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি স্কট গত এক বছরে মহাকাশে ক্যালরি মেপে খাবার খেয়েছেন। তার ওপর মহাকাশে শারীরিক কসরতের প্রয়োজন হয় অনেক বেশি। এই দুয়ের মেলবন্ধনেই যমজ ভাইয়ের চেয়ে বয়সে কম দেখাচ্ছে স্কটকে। বয়স কমার গল্প মানতে রাজি নন ভারতের একমাত্র নভশ্চর যিনি ১৯৮৪ -তে ৮ দিনের জন্য মহাকাশে কাটিয়েছিলেন সেই রাকেশ শর্মাও। ও দিকে পৃথিবীতে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই আবার ভাইয়ের মতোই ‘বয়স্ক’ হয়ে যান স্কট। সূত্র: এই সময়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মহাকাশে গেলেই কমে যাবে বয়স!

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাহলো মহাকাশে গেলে বয়স থমকে যাবে। চুলে পাক ধরবে না বা টাক পড়বে না। চামড়ায় ভাঁজও আসবে না।

জানা যায়, এক বছরের বেশি সময় মহাকাশে ছিলেন নভশ্চর স্কট কেলি। ৩৮২ দিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে যখন ফেরেন তখন স্কটকে অভ্যর্থনা জানাতে বাকিদের মতো হাজির ছিলেন ভাই মার্ক কেলি। দুই ভাইকে পাশাপাশি দেখে টনক নড়ে নাসার বিজ্ঞানীদের। স্কট-মার্ক যমজ ভাই। কিন্ত্ত মহাকাশে কাটিয়ে আসা স্কটকে মার্কের চেয়ে বয়সে বেশ খানিকটা কম লাগছিল। এমন তো হওয়ার কথা নয়। এক বছর আগেও দুই যমজের মধ্যে কোন ফারাক পেতেন না কেউ। খটকা লাগায় আর হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি বিজ্ঞানীরা। দু’জনের জিন নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। মানব শরীরে ক্রোমজোমের শেষ প্রান্তে একটি ছোট্ট প্যাকেটের মতো বস্ত্ত রয়েছে৷ যার মধ্যে কোষের ডিএনএ থাকে৷ ওই প্যাকেটের মতো বস্ত্তটির আয়তন দেখেই বয়সের ছাপ পড়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। যত সময় যায় ততই ওই প্যাকেট কুঁচকে ছোট হয়ে যায়। স্কটের ক্ষেত্রে দেখা যায় এর ঠিক উল্টো। অর্থাৎ মহাকাশ থেকে ফেরার পর স্কটের শরীরে ওই ডিএনএ বহনকারী প্যাকেটগুলির আয়তনে ছোট তো হয়নি বরং বেড়ে গিয়েছে!

তবে এই প্যাকেটের বাড়া-কমা অনেকটাই নির্ভর করে একজনের খাদ্যাভাস ও জীবনযাত্রার ওপর। যে যত পরিমিত ক্যালরির খাবার খায় ও ব্যায়াম করে তার শরীরে বার্ধক্য তত দেরিতে আসে। এই তথ্য মাথায় রেখে বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ মহাকাশে গিয়ে বয়স কমার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি স্কট গত এক বছরে মহাকাশে ক্যালরি মেপে খাবার খেয়েছেন। তার ওপর মহাকাশে শারীরিক কসরতের প্রয়োজন হয় অনেক বেশি। এই দুয়ের মেলবন্ধনেই যমজ ভাইয়ের চেয়ে বয়সে কম দেখাচ্ছে স্কটকে। বয়স কমার গল্প মানতে রাজি নন ভারতের একমাত্র নভশ্চর যিনি ১৯৮৪ -তে ৮ দিনের জন্য মহাকাশে কাটিয়েছিলেন সেই রাকেশ শর্মাও। ও দিকে পৃথিবীতে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই আবার ভাইয়ের মতোই ‘বয়স্ক’ হয়ে যান স্কট। সূত্র: এই সময়।