নিউজ ডেস্ক:
‘উইকেট কিপিংটা’ কখনোই ছাড়তে চাননি বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর ধরে রাখতে পারলেন না দেশের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার।
অথচ তার প্রিয় পজিশনটা ছাড়তে হয়েছে ক্রিকেটের যে সংস্করণে, সেই ফরম্যাটের অধিনায়ক আবার তিনি। উইকেটের পেছনে এখন লিটন কুমার দাস। তাহলে কোথায় দাঁড়াবেন অধিনায়ক?
অধিনায়ক যেহেতু তিনিই, তাই কোথায় দাঁড়ালে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন সেটা দেখার বিষয়ও তার। শুধু তার নিজের নয়, অন্য ১০ জনের বিষয়টাও তিনিই নির্ধারণ করবেন। অথচ টাইগার অধিনায়ক মুশফিক নিজের পছন্দের ফিল্ডিং পজিশনে নিজেই দাঁড়াতে পারছেন না। সেটিও কিনা ঠিক করে দিচ্ছে কোচ কিংবা টিম ম্যানেজমেন্ট!
হ্যাঁ, বিষয়টা হবাক হওয়ার মতো কথা। শুক্রবার ব্লমফন্টেইন টেস্টে মুশফিকুর রহিমের দাঁড়ানো দেখে থাকলে অবশ্য এখন আর অবাক হওয়ার কথা নয় আপনার। সতীর্থদের উৎসাহ ও কাছ থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সাধারণত অধিনায়করা উইকেটের খুব কাছাকাছি ফিল্ডিং পজিশন গুলোতে দাঁড়ান। স্লিপ, পয়েন্ট, মিড অন বা মিড অফ হয়ে থাকে তাদের ফিল্ডিং পজিশন। এর একটা ক্রিকেটিয় স্টেটেজিও আছে। বোলার-ফিল্ডারদের ভালো নির্দেশনা দেওয়া যায় সেখান থেকে। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরনটাও পরখ করা যায়। কিন্তু অধিনায়ক মুশফিক শুক্রবার ফিল্ডিং করেছেন বাউন্ডারি লাইনে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড় সমান রান তুলার পর ইনিংস মেষে সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় মুশফিককে। তখন মুশফিক বলেন, আমি ফিল্ডার হিসেবে খুব একটা ভালো না। আমার কোচরা চেয়েছে আমি যেন বাইরে বাইরে ফিল্ডিং করি। কারণ আমি সামনে থাকলে আমার হাত থেকে রান কিংবা ক্যাচ-ট্যাচ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাংলাদেশ টেস্ট দলপতি আরও বলেন, টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা বলবে সেটা তো আপনার করতেই হবে। আমি চেষ্টা করেছি বেশিরভাগ সময় বাইরে বাইরে থাকার। যখন ভেতরে ছিলাম তখন চেষ্টা করেছি বোলারদের সঙ্গে কথা বলার।