শুভেচ্ছাদূত হতে কেমন লাগে?
ভালোই লাগে। শুভেচ্ছাদূত হলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্র টিভি চ্যানেলে সারাক্ষণই প্রচার হতে থাকে। দর্শকেরা আমাকে নিয়মিত দেখতে পান। এটা দারুণ আনন্দের। আমি এর আগে চারটি প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হয়েছি। কিন্তু এবার আমি আর বর্ষা একই প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করব। আমাদের জন্য এটা অন্য রকম ভালো লাগা।
দুই বছর হতে চলল ‘স্পাই, অগ্রযাত্রার মহানায়ক!’ ছবিটির ঘোষণা দিলেন। এখনো শুটিং শুরুর খবর নেই যে?
ব্যবসায়িক ব্যস্ততা তো ছিলই। তা ছাড়া শুটিং শুরুর আগে আরিজের জন্ম হয়। আমরা দুজনেই আরিজকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। এর মধ্যে সিনেমার জন্য অভিনয়শিল্পী খোঁজার কাজ শুরু করলাম। সেটা করতেও বেশ সময় লাগল। এখন আমরা মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মাস তিনেকের মধ্যে শুটিং শুরু করব।
কোথায় শুটিং শুরু করবেন?
ইচ্ছা তো ছিল তুরস্ক থেকে শুরু করব। কিন্তু সেখানকার এখন যে রাজনৈতিক অবস্থা, তাতে লোকেশন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
এ সময়ে অন্য যাঁদের ছবি মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো দেখেছেন?
আমি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে আয়নাবাজি দেখেছি। খুব মজা পেয়েছি। শুনেছি শাকিব খানের শিকারি ছবিটিও সবাই আগ্রহ নিয়ে দেখেছেন। আমার কাছে গত বছরটা সিনেমার জন্য ভীষণ ইতিবাচক মনে হয়েছে। শাকিব খান তো ভালো করেন, ইদানীং আরিফিন শুভও ভালো করছেন। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশি সিনেমার সুদিন ফিরবেই।
ব্যবসায়ী, না নায়ক—কোন পরিচয় বেশি ভালো লাগে?
আমি ব্যবসায়ী, সিআইপিও নির্বাচিত হয়েছি, তবে এই পরিচিতিটা আমার একটা গণ্ডির মধ্যে। নায়ক হওয়ার কারণে আমি সবার হতে পেরেছি। এর আনন্দ একেবারে অন্য রকম।