শিরোনাম :
Logo শেখ হাসিনা তরুনদের শরীরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ভ্যাকসিন দিয়ে গেছেন: ফারুক ওয়াসিফ Logo বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে এআই: ডাব্লিউটিও Logo আফগানিস্তানকে টপকে নবম স্থানে বাংলাদেশ Logo বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে Logo ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা: রোহিঙ্গা, সংস্কার ও গণতন্ত্র ইস্যু প্রাধান্য পাবে এজেন্ডায় Logo কয়রায় মিথ্যা মানববন্ধনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo পলাশবাড়ীতে ভেঙ্গেপড়া ব্রীজ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল। Logo সিরাজগঞ্জে রেলওয়ে প্রকল্প থেকে রেলের শীট ও ভ্যান জব্দ, চুরি আতঙ্কে এলাকাবাসী Logo সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন Logo চাঁদপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম এন জামিউল হিকমা

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি সেবার দরজায় এখন কাঁদা-পানি, ঝুঁকিতে রোগী-স্বজন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:১১:১০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
  • ৭২১ বার পড়া হয়েছে

সাকিব আল হাসান,স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের ছাদ থেকে বর্ষার পানি গড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে চলে আসছে নিচতলায়।এই পানি গন্তব্য খুঁজে নিচ্ছে সোজা হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট—জরুরি বিভাগে।

বৃষ্টি হলেই পানি চুইয়ে নামে সিঁড়ি হয়ে, ছড়িয়ে পড়ে পুরো মেঝে জুড়ে।ফ্লোরজুড়ে কাদা ও পানি মিলে তৈরি হয় একটি পিচ্ছিল ফাঁদ, যেখানে চিকিৎসা নিতে এসে আরও বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন রোগী ও স্বজনেরা।

টাইলস করা মেঝে ভেজা থাকায় পা রাখতেই পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা, যা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বৃদ্ধ, শিশু বা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য।

একজন রোগীর কন্যা জানান, “আব্বু স্ট্রোক করে ভর্তি হয়েছেন, অথচ আমি নিজেই পিছলে যাচ্ছি। এই অবস্থায় রোগীকে আগলে রাখবো, না নিজেকে সামলাবো—বোঝা যাচ্ছে না।”

এই দৃশ্য শুধু এক দিনের নয়—প্রতিবার বৃষ্টি হলেই এই একই অবস্থা।ভবনের ছাদে সঠিক ড্রেনেজ না থাকায় বর্ষার পানি চুইয়ে নেমে আসে। সিঁড়ি হয়ে তা গড়িয়ে জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ে, যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করতে হয় রোগী ও স্বজনদের।

হাসপাতালের একজন কর্মচারী বলেন, “বছরের পর বছর ধরে একই সমস্যা। বললেও ব্যবস্থা হয় না। আমরা শুধু মুছি আর রোগীদের সাবধানে চলতে বলি।”

একেকটি পানির ফোঁটা যেন অব্যবস্থাপনার চিৎকার, কিন্তু শুনছে না কেউ।

জরুরি বিভাগে যেখানে সবচেয়ে সচেতন আর সুরক্ষিত থাকার কথা, সেখানে রোগী আগে পড়ছে পানিতে, পরে পৌঁছাচ্ছে চিকিৎসকের কাছে।এই অবস্থা যে শুধু ঝুঁকিপূর্ণ তাই নয়—স্বাস্থ্যসেবার মানবিক মূল্যবোধকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় কী এমন গাফিলতি রয়েছে, যা বছরের পর বছরেও সমাধান পায় না?আরও গভীরভাবে ভাবলে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের এই করুণ চিত্রই ইঙ্গিত দেয়—হাসপাতালের অন্যঅংশগুলোতেও লুকিয়ে আছে আরও কত অনিয়ম, কত অব্যবস্থাপনা!
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রতিটি ইট যেন এখন একেকটি নীরব অভিযোগ।

আর হাসপাতালের অভিভাবকেরা হয়তো চোখ বন্ধ করে বসে আছেন—অথবা দেখেও দেখছেন না।চিকিৎসাসেবার মতো স্পর্শকাতর জায়গায় এমন চিত্র কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।দ্রুতই এসব ভোগান্তির অবসান ঘটুক—এটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা তরুনদের শরীরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ভ্যাকসিন দিয়ে গেছেন: ফারুক ওয়াসিফ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি সেবার দরজায় এখন কাঁদা-পানি, ঝুঁকিতে রোগী-স্বজন

আপডেট সময় : ০২:১১:১০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫

সাকিব আল হাসান,স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের ছাদ থেকে বর্ষার পানি গড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে চলে আসছে নিচতলায়।এই পানি গন্তব্য খুঁজে নিচ্ছে সোজা হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট—জরুরি বিভাগে।

বৃষ্টি হলেই পানি চুইয়ে নামে সিঁড়ি হয়ে, ছড়িয়ে পড়ে পুরো মেঝে জুড়ে।ফ্লোরজুড়ে কাদা ও পানি মিলে তৈরি হয় একটি পিচ্ছিল ফাঁদ, যেখানে চিকিৎসা নিতে এসে আরও বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন রোগী ও স্বজনেরা।

টাইলস করা মেঝে ভেজা থাকায় পা রাখতেই পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা, যা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বৃদ্ধ, শিশু বা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য।

একজন রোগীর কন্যা জানান, “আব্বু স্ট্রোক করে ভর্তি হয়েছেন, অথচ আমি নিজেই পিছলে যাচ্ছি। এই অবস্থায় রোগীকে আগলে রাখবো, না নিজেকে সামলাবো—বোঝা যাচ্ছে না।”

এই দৃশ্য শুধু এক দিনের নয়—প্রতিবার বৃষ্টি হলেই এই একই অবস্থা।ভবনের ছাদে সঠিক ড্রেনেজ না থাকায় বর্ষার পানি চুইয়ে নেমে আসে। সিঁড়ি হয়ে তা গড়িয়ে জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ে, যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করতে হয় রোগী ও স্বজনদের।

হাসপাতালের একজন কর্মচারী বলেন, “বছরের পর বছর ধরে একই সমস্যা। বললেও ব্যবস্থা হয় না। আমরা শুধু মুছি আর রোগীদের সাবধানে চলতে বলি।”

একেকটি পানির ফোঁটা যেন অব্যবস্থাপনার চিৎকার, কিন্তু শুনছে না কেউ।

জরুরি বিভাগে যেখানে সবচেয়ে সচেতন আর সুরক্ষিত থাকার কথা, সেখানে রোগী আগে পড়ছে পানিতে, পরে পৌঁছাচ্ছে চিকিৎসকের কাছে।এই অবস্থা যে শুধু ঝুঁকিপূর্ণ তাই নয়—স্বাস্থ্যসেবার মানবিক মূল্যবোধকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় কী এমন গাফিলতি রয়েছে, যা বছরের পর বছরেও সমাধান পায় না?আরও গভীরভাবে ভাবলে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের এই করুণ চিত্রই ইঙ্গিত দেয়—হাসপাতালের অন্যঅংশগুলোতেও লুকিয়ে আছে আরও কত অনিয়ম, কত অব্যবস্থাপনা!
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রতিটি ইট যেন এখন একেকটি নীরব অভিযোগ।

আর হাসপাতালের অভিভাবকেরা হয়তো চোখ বন্ধ করে বসে আছেন—অথবা দেখেও দেখছেন না।চিকিৎসাসেবার মতো স্পর্শকাতর জায়গায় এমন চিত্র কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।দ্রুতই এসব ভোগান্তির অবসান ঘটুক—এটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।