বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, রাবি :
দেশ এখনো চলছে আওয়ামী লীগের তৈরিকৃত সংবিধানে তাদের সে আইনে তারা এখনো বৈধ। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ যে নির্যাতন নিস্পেষণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে জুলাই বিপ্লবের পরে তারা যদি তাদের দলীয় কর্মকাণ্ড কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং একত্রিত হয় তাহলে আমাদের জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্ত দেয়া বৃথা হবে।
বুধবার(২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় রাবি প্যারিস রোডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়জুলাই গণঅভ্যুত্থান মঞ্চের পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক ফেব্রুয়ারীতে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এ কথা বলেন গণ অভ্যুত্থান মঞ্চের আহ্বায়ক জায়িদ জোহা।
আন্দোলনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান মঞ্চের আহ্বায়ক জয়িদ জোহা বলেন,
আমরা এখানে কারো মুখ দেখে আসেনি আওয়ামী লীগ যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তার প্রতিবাদ এবং তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করার জন্যে এখানে একত্রিত হয়েছি।আমাদের ক্ষোভ যারা এই এই কর্মসূচি ঘোষনা করেছে এবং যারা এটা ঘোষণা করার সুযোগ করে দিয়েছে তাদের উভয়ের প্রতি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ৫ ই আগস্টের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছি।এই স্বাধীনতাকে কোনোভাবেই ভূলন্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না।এই স্বাধীনতার পিছনে যদি এখনও আওয়ামীলীগ কোন নেতা ষড়যন্ত্রের লিপ্ত থাকে তাহলে আমরা এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে রাজি আছি। আমরা এখনও রাজপথ ছাড়ি নাই ।আমরা দুই হাজার শহীদের রক্তের বদলা নিয়েই ঘরে ফিরব।আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি সেই বাংলাদেশ গড়ে ঘরে ফিরব। এই নতুন বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না।
আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের (২০১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম আজম সাব্বির বলেন, আমরা আবু সাইদ ও সাকিব আঞ্জুমদের কথা ভুলিনি। দুই হাজার শহিদের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ সহ কোন স্বৈরাচারের জায়গা হবে না। আজকের এই আন্দোলন শুধু ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নয় বরং যাদের অক্ষমতার সুযোগ নিয়ে ছাত্রলীগ আজকে এমন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পেরেছে তাদের বিরুদ্ধেও। বিপ্লবের পরে বিপ্লব বিরোধীদের হত্যা করা হলেও অতিরিক্ত সুশীল গিরি দেখিয়েছে বাঙালিরা।
তিনি আরও বলেন, এর আগে নিরাপত্তাকে ব্যবহার করে হাজার হাজার ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আমরা এর জবাব চাই। যখন এই ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ যুবলীগ সহ যেকোনো স্বৈরাচারীরা রাজপথে নামার চেষ্টা করবে ছাত্র জনতা তাদের রুখে দিবে। এই বাংলা থেকে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ বিদায় নিয়েছে আর যেন কখনো ফিরে না আসে। ভবিষ্যতে তারা রাজপথে নামলে রাস্তায় তাদের লাশ পড়ে থাকবে।
এ সময়, আন্দোলনের সঞ্চালক আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, শুধু ছাত্রলীগে নয় বরং আওয়ামীলীগকে যারা সৈরাচার হতে বাধ্য করেছিল সেইসব রাজনৈতিক দলেরও বিচার শুরু করতে হবে ।বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না ।আরেকটা শাহবাগ তৈরি করতে দেওয়া হবে না ।শাহবাগীদের বিচার করতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে। আন্দোলনে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।