নিউজ ডেস্ক:
চাপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চলে মাল্টা চাষে সফলতা পেয়েছেন চাষীরা। উৎপাদন খরচ কম এবং স্বাদ ও ঘ্রানে অতুলনীয় হওয়ায় বানিজ্যিক ভাবে তৈরি হচ্ছে চাষের সম্ভাবনাও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখানে উৎপাদিত মাল্টার স্বাদ ও পুষ্টিগুন আমদানিকৃত মাল্টার চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া আব্হাওয়া ও মাটির গুনাগুন অনুকূলে থাকায় মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনার কথাও বলছেন তারা। দেখুন চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে আনোয়ার হোসেনের পাঠানো রিপোর্ট।
দেখতে অনেকটা লেবু গাছের মত। এমন গাছেই ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা। গাঢ় সবুজ রঙের মাল্টা গুলোয় লেগেছে হলুদাভ রং। কেবল দেখতেই শোভা নয় মাল্টা গুলোর স্বাদও বেশ মিষ্টি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঝিলিম ইউনিয়নের জামতলা এলাকায়, সর্বপ্রথম ২০১৩ সালে দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ শুরু করেন মতিউর রহমান। প্রথম দিকে ব্যর্থ হলেও সঠিক পরিচর্যা ও অকান্ত পরিশ্রমে আসে কাঙ্খিত ফল। ব্যক্তি পর্যায়ে বৃরোপনে অবদান রাখায় মিলেছে জাতীয় পুরস্কারও।
তার সফলতা দেখে এখন অনেকেই শুরু করেছেন মাল্টা চাষ। চলতি বছর জেলায় ১৫০ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি আমদানি নির্ভর হওয়ায় দেশে বানিজ্যিক ভাবে মাল্টা চাষ করা গেলে একদিকে যেমন কমবে আমদানি, তেমনি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাড়ানো সম্ভব রফতানিও।
আবহাওয়া ও মাটির গুনাগুন অনুকূলে থাকায় এ অঞ্চলের মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
শীতকালে লেবু জাতীয় ফল থাকে না বললেই চলে। সেেেত্র বারি মাল্টা-১ লেবু জাতীয় ফলের উৎপাদনের েেত্র বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।