জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মতো রমজান মাসে গণ ইফতার আয়োজনের চিত্র দেখা গেল। তবে এবারের আয়োজন ছিল বিশেষ এক উষ্ণতায় ভরা। একটি গণ ইফতার, যা শুধুমাত্র বন্ধুদের বা সহপাঠীদের জন্য ছিল না, বরং একসঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, দোকানদার এবং রিকশাচালকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে অনুষ্ঠিত এই গণ ইফতার আয়োজনের পেছনে ছিলেন ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা। নিজেদের অর্থায়নে এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় তারা আয়োজনটি সফল করেছেন। ব্যস্ত ক্যাম্পাসজীবনের মাঝেও তাঁরা এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন, যা শুধু ইফতারের আয়োজন নয়, বরং এটি ছিল একটি বৃহত্তর সম্প্রীতির মেলবন্ধন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশিদুল আলম। তাঁরা শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের আয়োজন করার অনুপ্রেরণা দেন।
ইফতারের আগে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়া হয়, যেখানে তারা তাদের উদ্যোগের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এরপর একসঙ্গে দোয়া করে ইফতার শুরু করা হয়। মাঠের এক প্রান্তে শিক্ষকরা বসেছিলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি, দোকানদার ও রিক্সাচালকেরা । একটি ক্যাম্পাস যখন এক হয়ে যায়, তখন সেটি শুধুই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকে না, বরং হয়ে ওঠে একটি পরিবার।
এই আয়োজন কেবল একটি ইফতার অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একটি ক্যাম্পাস যখন শুধু একাডেমিক অর্জনের জায়গা না থেকে মানবিকতার শিক্ষা দেয়, তখন সেটি সত্যিকার অর্থে আলোকিত হয়ে ওঠে। ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের এই গণ ইফতার আয়োজন সেই আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে বহুদিন। তাদের এই উদ্যোগ আগামী দিনের শিক্ষার্থীদের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।