বীরগঞ্জ পৌরশরের বিজয় চত্বরে ৩০ জুন রবিবার বেলা ৪ টায় শতগ্রাম ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে আধা ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় অভিভাবক সদস্য মো: সফিকুল ইসলাম বাবুল, মো: বদিউল ইসলাম হামিদা খাতুন মুন্নি, রেবা আক্তার, ফারুক ইসলাম সহ অনেকে অংশ নেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে গত ২৪ জুন’২০২৪ উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভোটের মাধ্যমে ৯ জন অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হন। এর ধারাবাহিকতায় ২৭ জুন দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে মোস্তাক শামীম ও রাকিবুল ইসলাম মুক্তা নামে দুজন সভাপতি প্রার্থীর উপস্থিতিতে কোনো রকম রেজুলেশন ও ভোট ছাড়াই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অভিভাবক সদস্যদের মৌখিক কথার ভিত্তিতে রাকিবুল ইসলাম মুক্তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
এতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ্ নানা প্রশ্নের সম্মুখীন এবং শারিরীক লাঞ্ছিত হন।
এক পর্যায়ে মারমুখী পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী’র সহায়তা কামনা করলে তিনি হস্তক্ষেপ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হয়।ওই দিন ইউএনও কার্যালয়ে সকলের উপস্থিততে ৩০ জুন’২০২৪ দুপুর ১২ টায় পুনরায় ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করার ঘোষনা দেয়া হয় কিন্তু সেই ঘোষনা মতে ভোট না করে রাকিবুল ইসলাম মুক্তাকেই কন্ঠ ভোটের মাধ্যমে সভাপতি বহাল রাখা হয়েছে মর্মে জানার ফলে প্রতিপক্ষ বাংলাবাজার এলাকাবাসী ও নির্বাচিত সদস্যগন আইনী সহায়তার জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
তারা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন অবিলম্বে অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতা পরিহার করে সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হোক অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ ব্যপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ্-এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন যা কিছু করেছি সব নিয়মের মধ্যে, আমি কোন অনিয়ম, দূর্নীতি করি নাই
উল্লেখ্য যে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ্ ইতি পূর্বে শিবরামপুর ইউনিয়নের শিবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নিয়োগ কালে অজ্ঞাত সুবিধা নিয়ে অন্যের পারপাস সাফ করতে গিয়ে নির্বাচিত ৭ অভিভাবক সদস্যর উপস্থিতিতে ভোট না করে পালিয়ে যায় অফিস হতে। তার বিরুদ্ধে ৭ নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য আদালতে মামলা করেছে