নিউজ ডেস্ক:
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ধান উৎপাদনে সফলতার ধারা আরো গতিশীল করতে হবে। সেই লক্ষ্যে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ সহনশীল ধানের জাত ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য তিনি বিজ্ঞানিদের প্রতি আহ্বান জানান।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) পাঁচ দিনব্যাপি বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সফলতার জন্য বিজ্ঞানি, কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলাফল হিসেবে যে কোনো ক্ষেত্রে সাফল্য আসে। সরকার কৃষিবান্ধব নীতি অনুসরণ করেছে বলেই এতটা সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ এটাকে আরো গতিশীল করা।
তিনি বলেন, ‘অতীতের খাদ্য ঘাটতির দেশ, এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা বিদেশ থেকে চাল আমদানি করি না। যে টুকু আমদানি হয়, সেটা বাসমতি ইত্যাদি ধরনের। যেটা সাধারণ মানুষের খাবার নয়। আমাদের দেশে বাসমতি চাল যেমন আসে, তেমনি আমাদের চিনিগুড়ি, কাটারিভোগ অন্যান্য সুগন্ধি চাল কিন্তু বাইরে যায়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘কিছু নীতিগত ভুলের কারণে বিপুল সম্ভাবনার এ দেশে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আমাদের বিদেশি সাহায্যের মুখাপেক্ষী হতে হয়েছে। একটা সময় শুনতাম- খাদ্য ঘাটতি থাকা ভালো, তাহলে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যায়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহর সভাপতিপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মনজুরুল হান্নান, ব্রির মহাপরিচালক ড. ভাগ্য রানী বণিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ‘গবেষণা অগ্রগতি ২০১৫-১৬’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আনছার আলী