নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা ব্যতীত কোন কিছু সঙ্গে আনতে পারবেন না। আজ সকাল ১১ টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
সকলকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘আজ ২৮ রমজান, পবিত্র রমজান শেষের দিকে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরবিচ্ছিন্ন, সুদৃঢ় ও সমন্বিত নিরাপত্তা নিয়েছিল বিধায় রমজানে উল্লেখযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়নি। উৎসবমূখর ও নিরাপদ পরিবেশে নগরবাসী শপিংমলগুলোতে গভীররাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন। আমরা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে নিয়েছি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইফতারের আগে রাস্তা যানজটমুক্ত রাখতে প্রতিদিন ৬-৭ শত ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় পানি খেয়ে ইফতার করেছে ।’
জাতীয় ঈদগাহের গৃহীত নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ জাতীয় ঈদগাহের ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে আমরা নিয়েছি কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদগাহের প্রতিটি জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। নিরাপত্তায় থাকবে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। অন্তঃবেষ্টনী ও বহিঃবেষ্টনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত থাকবে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড ইউনিট। ঈদগাহে প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেক মুসল্লিকে দুই দফা তল্লাশীর মাধ্যমে ঈদগাহে ঢুকতে দেয়া হবে। একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি বায়তুল মোকাররম মসজিদে।
তিনি আরো বলেন, ‘ঈদের নামাজে শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যদের কর্তব্যরত অবস্থায় ঈদের নামাজ পড়তে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের জন্য পুলিশ লাইন্সে সকাল ১১টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের সময় ও পরে রেষ্টুরেন্ট, পার্ক ও দর্শনীয়স্থানে থাকবে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদের ছুটিতে বাসা-বাড়ি, অফিস ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ডের সাথে সমন্বয় করে নিরাপত্তা দিবে পুলিশ। ঈদ যাতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সকলে উদযাপন করতে পারে সেজন্য সকল ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি।’
নগরবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ঈদগাহে আসার পূর্বে তল্লাশীকালে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। জাতীয় ঈদগাহে মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। ভ্যানিটি ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, দা, ছুরি, কাচি, যেকোন ধারালো বস্তু, মোবাইল ফোন, দার্হ্য পদার্থ, অস্ত্র আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ এগুলো নিয়ে ঈদগাহে আসবেন না। আপনাকে কয়েকবার তল্লাশীর মধ্যে পড়তে হবে। শুধুমাত্র জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে আসতে পারবেন। তবে পুলিশ চাইলে নিরাপত্তার স্বার্থে জায়নামাজ ও ছাতা খুলে দেখাতে হবে।’
দূর্ঘটনা এড়াতে ঈদের নামাজ শেষে সকলে একসাথে একই গেইট দিয়ে না বেরিয়ে ধীরে সুস্থে ভিন্ন ভিন্ন গেইট দিয়ে ঈদগাহ ত্যাগ করার আহবান জানান ডিএমপি কমিশনার।
এর আগে জাতীয় ঈদগাহে স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ঈদগাহের ভেতর পরিদর্শন এবং কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ডগ স্কোয়াড দিয়ে একটি নিরাপত্তামূলক মহড়া প্রত্যক্ষ করেন ডিএমপি কমিশনার।