আহতদের মধ্যে হাসানুজ্জামান, সাত্তার শিকদার, সাইফুদ্দীন, সোনা মিয়া, জালাল উদ্দীন, আব্দুল ওহাব, ইমরান, ফারুক হোসেন, তুহিন, নাফিজ, সালামত, ইমন, এস এম রিয়াজুল, মুইম, জান্নাত হোসেন, আসাদুজ্জামান, ইমন শিকদার, ফিরোজ শিকদার, আলী আকবর, বায়োজিদ হোসেন. আজগার মন্ডল ও হারুন শিকদারের নাম পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সবাই নবনির্বাচিত শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মননু ও সংসদের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী নায়েব আলী জোয়ারদার এমপির সমর্থক।
শৈলকুপা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একটি মারামারি মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক শিকদারকে গতকাল রোববার দুপুরে ধাওড়া থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পরই মোস্তাক শিকদারের কয়েকশ সমর্থক তাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায়। এসময় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
শৈলকুপা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহমান রিংকু অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের ওপর বেআইনি ও অন্যায়ভাবে হামলা করেছে। পুলিশের গুলিতে ৩০-৩৫ জন আহত হওয়ার দাবিও করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জাকারিয়া জানান, এজাহারনামীয় আসামি মোস্তাক শিকদারকে রোববার দুপুরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পরপরই আসামির পক্ষে কয়েকশ উশৃংখল জনতা তাকে ছাড়িয়ে নিতে জোটবদ্ধভাবে থানায় হামলা চালায়। এসময় তারা থানার প্রধান ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ নিজেদের জানমাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় বাধ্য হয়ে শটগানের গুলি ছোড়ে। তবে পুলিশ কত রাউন্ড গুলি ছুড়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।
এদিকে, গত শুক্রবার স্থানীয় এমপি নায়েব আলী জোয়ারদার ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মননুর উপস্থিতিতে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আযম থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে থানা থেকে বিতাড়ন করার হুমকি দেন। তার এই হুমকির দুই দিন পর থানায় এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
এ ব্যাপারে শৈলকুপার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলীর বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। শৈলকুপার বেশির ভাগ নেতার এ ঘটনার পর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি