নিউজ ডেস্ক:
১৯৮৮ সালে অগ্রণী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তৎকালীন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। এ সময় প্রত্যেক আসামিকে ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত মীর রহুল আমিন এই রায় দেন। রায়ে আরো দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা বর্তমানে সবাই পলাতক থাকলেও রায়ের সময় বেকসুর খালাস প্রাপ্ত ইসহাক চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আনসারুল হক (তৎকালীন অগ্রণী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক), আব্দুর শুক্কুর (তৎকালীন ক্যাশ ইনচার্জ), ব্যবসায়ী স্বপন কুমার ঘোষ, আব্দুন নূর (নূর ট্রেডার্সের মালিক), জামাল উদ্দিন (মেসার্স আলম ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানির মালিক), কোরবান আলী (মেসার্স পারভিন অটোমোবাইলসের মালিক), আজিজুর রহমান (আজিজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক), শহিদুর রহমান ও মো. হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সিআই শিট আমাদানি করার জন্য নূর ট্রেডার্সের নামে ভুয়া আমদানি কাগজ তৈরি করে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণপত্র নেই আসামিরা। পরে ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৮ টাকা অগ্রণী ব্যাংকের ক্ষতিসাধন দেখিয়ে ১৯৮৮ সালের ১৩ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তৎকালীন পরিদর্শক আবু মো. তারেক সিদ্দিকী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।