নিউজ ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ছয়জন।
আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে শাহজাদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে শাহজাদপুরে আজ সকাল থেকে আধাবেলা হরতাল চলছে। গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম ওরফে শিমুল গতকাল শুক্রবার মারা যান। শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত পৌর মেয়র হালিমুল হকের শটগানের গুলিতে তিনি মারা গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে শাহজাদপুর উপজেলায় আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল ডাকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। হরতালে সমর্থন জানিয়েছে শাহজাদপুর উপজেলা প্রেসক্লাব।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাহজাদপুরের পৌর মেয়র হালিমুল হকের ছোট ভাই পিন্টু পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কান্দাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা বিজয় মাহমুদকে (১৮) বেদম মারধর করেন। বিজয় সাংসদ হাসিবুর রহমানের অনুসারী। বিজয়কে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সমর্থনে মহল্লার লোকজন ও আওয়ামী লীগের একাংশ এবং কলেজের ছাত্ররা একজোট হয়ে বেলা তিনটার দিকে মেয়রের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় গুলি ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়া সাংবাদিক আবদুল হাকিম মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গতকাল ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী নুরুন নাহার বেগম গতকাল শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে মেয়র হালিমুল হক, তাঁর দুই ভাইসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পর পুলিশ পৌর মেয়রের লাইসেন্স করা শটগান জব্দ করে এবং তাঁর ভাইকে আটক করে। পৌর মেয়র পলাতক রয়েছেন।