সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। ইতোমধ্যে তার লন্ডনের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কিছুদিন কাটানোর পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, লন্ডনের ভিসা পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা এখনো নিশ্চিত হয়নি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩০ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়া তার আগে বা পরে যাত্রা করতে পারেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সূত্র জানিয়েছে, সফরসঙ্গী হিসেবে পরিবারের সদস্য, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে থাকতে পারে।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, হৃদরোগ ও লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য মেডিক্যাল বোর্ড তাকে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও তার বিদেশযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল। তবে চলতি বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর তিনি মুক্তি পান এবং বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন।