গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলা। যেখানে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লেখাপড়া করছেন শিক্ষার্থীরা। এ অঞ্চলের উচ্চ শিক্ষার একমাত্র বিদ্যাপীঠ শেরপুর সরকারি কলেজ। এই কলেজ থেকে এ বছর একসঙ্গে ২৩ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর এবার ৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেলেন বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়া অপেক্ষা মান তালিকায় আছেন আরো ২জন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) এর ফলাফল প্রকাশের পর আজ রবিবার (২মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ কলেজ থেকে এবছর ২০২৪-২০২৫ সেশনে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স প্রাপ্তরা হলো: রোদেলা হোড় প্রিয়ন্তি- রুয়েট(রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), উপমা- চুয়েট( চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), মোঃ আবু নাঈম সিয়াম- রুয়েট(রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), ফায়জুল কবির- রুয়েট(রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), মাহিবে তামিম-রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), তাহসিন আনজুম মুবিন- রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), আদনান সিয়াম আকন্দ- রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)। অপেক্ষা মান তালিকায় আছেন নাফিস এবং ধ্রুব। এর আগে সরকারি মেডিকেল কলেজ এর ফলাফল প্রকাশিত হলে দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ২৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এ ব্যপারে রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কাদের বলেন, “প্রতি বছরই আমাদের কলেজ থেকে অনেক শিক্ষার্থীই দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে চান্স পায়, কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে এই খবর গুলো বেশি প্রচার হয়না। কোন শিক্ষার্থী যদি এন্ড্রয়েড মোবাইলফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রনে রেখে নিয়মিত পরিশ্রম করে তাহলে অবশ্যই সে ভালো জায়গায় চান্স পাবে। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ স্যার সহ অন্যান্য স্যারদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারনেই ফলাফলের অগ্রগতি হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে।”
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুর রউফ বলেন, “ছাত্র শিক্ষক- অভিভাবকের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টায় পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনপদ থেকেও যে দেশের সর্বোচ্চ কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সম্ভব শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের এবারের ভর্তি-সাফল্য তারই প্রমাণ বহন করেছে। বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ২৩ জন দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন ইতিমধ্যে চান্স পেয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চান্স পাবে বলে আশা রাখি।”