এপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তোরখাম সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। বেসামরিক সূত্রের বরাতে ডন জানায়, আফগানিস্তান থেকে ছোড়া মর্টার শেলে বাছা মাইনার এলাকার বাসিন্দা ইশহাক খান আহত হয়েছেন। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়। আহত ইশহাক খানকে প্রথমে লান্দি কোটাল হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পেশোয়ার পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত চেকপয়েন্ট এবং সামরিক স্থাপনার ওপর ভারী অস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় আফগানিস্তানের ভেতরে কিছু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে গোলাগুলির শব্দ থেমে গেলেও, বুধবার দুপুর থেকে আবারও আর্টিলারি শেলের পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়।
একজন পাকিস্তানি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সংঘর্ষের কারণে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উভয়পক্ষই হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। তিনি আরও জানান, আফগান বাহিনীর হামলায় পাকিস্তানের তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছে এবং সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।