নিউজ ডেস্ক:
শুধু নিজের প্রতিবিম্ব দেখাই নয়, আয়না এখনো ফ্যাশনেরও অনুষঙ্গ। পোশাক, তৈজসপত্রসহ বহু ক্ষেত্রেই এখন আয়নার ব্যবহার বাড়ছে। এমন কোনো ঘর পাওয়া কঠিন হবে যেখানে আয়না নেই। অনেকে ঘর সাজাতে ছোট-বড়, বিভিন্ন আকৃতি, নকশার আয়না ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্রের কিছু পরামর্শ আছে। শাস্ত্রমতে ভুল জায়গায় আয়না রাখলে তা জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
বাস্তুমতে শোওয়ার ঘরে কখনোও আয়না রাখা যাবে না। যদি রাখতেই হয় তবে ব্যবহারের পর একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। রাতে আয়নার দিকে বেশি তাকিয়ে থাকবেন না। এর ফলে খারাপ প্রভাব আপনার জীবনে পড়তে পারে। রাতে শোওয়ার সময় আপনার যেন প্রতিবিম্ব আয়নায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বাড়িতে ঢোকার মুখে কোনও আয়না রাখা যাবে না। বাড়িতে বা অফিসে কারোর ঢোকা বা বের হওয়ার ছবি আয়নায় প্রতিবিম্বিত না হওয়াই ভালো। বাথরুমের দেওয়ালের মাঝামাঝি আয়না লাগানো ভালো। আর অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে আয়নায় সাবান বা পানির দাগ যেন না লেগে থাকে।
বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক করে আয়না রাখুন। এর ফলে আপনার জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য ফিরে আসবে। বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে আয়না দুর্ঘটনারও মোকাবিলা করবে। ঘরে এমন ভাবে আয়না রাখুন যাতে সেখানে কোনও সৌভাগ্যপূর্ণ জিনিসের ছায়া পড়ে। আয়না ভেঙে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা ফেলে দিন।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত আয়না কখনোই রাখবেন না। একগাদা আয়না ঘরে জমিয়ে না রাখাই ভালো। বারান্দা বা বাগানে আয়না রাখার প্রয়োজন নেই। চেষ্টা করুন এমন জায়গায় আয়না রাখতে যেখানে প্রচুর পরিমাণে সূর্যের আলো পড়ে। এর ফলে আপনার জীবনে শান্তি, ভালোবাসা ও সমৃদ্ধি উপচে পড়বে। জুতোর তাক বা আবর্জনা রাখা পাত্রের প্রতিবিম্ব যেন আয়নায় না পড়ে।
চেষ্টা করুন আয়তাকার বা বর্গাকার আয়না ব্যবহার করতে। বেশি আঁকিবুকি কাটা আয়না ব্যবহার করবেন না। ঘরে অ্যাকুয়ারিয়াম থাকলে, তার ছায়া আয়নার পড়া শুভ বলে মনে করা হয়। তবে খেয়াল রাখবেন অ্যাকুয়ারিয়াম যেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। কোনও মরা মাছ যেন সেখানে না থাকে।